ত্রিপুরী: আগরতলায় অন্য রূপে ভারতমাতা। ছবি: বাপি রায়চৌধুরী
ত্রিপুরার বিভিন্ন উপজাতি গোষ্ঠীর সঙ্গে ‘ভারতমাতার’ পরিচয় করাতে তৎপরতা শুরু হয়েছে বিজেপি শিবিরে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে রাজ্য বিধানসভার ভোট। তার আগেই এই পরিচয় পর্ব সেরে ফেলতে চাইছেন ত্রিপুরার ভারপ্রাপ্ত সর্বভারতীয় বিজেপি নেতা সুনীল দেওধর। এবং এই ভারতমাতার পরনে শাড়ির পরিবর্তে থাকছে উপজাতি পোশাক। রাজ্যের ১৯টি উপজাতি গোষ্ঠীর স্ব-স্ব পোশাকে আলাদা আলাদা করে আঁকানো হচ্ছে ভারতমাতার ছবি।
সুনীল দেওধরের নিজের প্রতিষ্ঠিত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, ‘মাই হোম ইন্ডিয়া’ সম্প্রতি বেঙ্গালুরুতে ‘ত্রিপুরা উৎসব’-এর আয়োজন করে। সুনীলের বলেন, ‘‘দেশের এক রাজ্যের মানুষের সঙ্গে অন্য রাজ্যের মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধন করাই তাঁদের সংস্থার লক্ষ্য। তবে প্রাথমিক ভাবে, উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন রাজ্যের মানুষের সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের মানুষের আত্মিক সম্পর্ক দৃঢ় করাই তাঁদের লক্ষ্য। সেই দিকে নজর রেখেই এ বার ত্রিপুরা উৎসবের আয়োজন করা হয়।’’ তবে ত্রিপুরার আসন্ন নির্বাচনকে মাথায় রেখেই যে বেঙ্গালুরুতে কর্মরত ত্রিপুরাবাসী উপজাতি ও অনুপজাতি ছেলেমেয়েকে একত্র করার লক্ষ্যেই এ বারের ‘ত্রিপুরা উৎসব’ সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেখানে চিরাচরিত শাড়ি পরিহিত মূর্তির পরিবর্তে ‘ত্রিপুরী’ উপজাতির পোশাকে সজ্জিত ভারতমাতাকে তুলে ধরা হয়।
বিষয়টি নিয়ে সঙ্ঘের ভিতরে-বাইরে ইতিবাচক চর্চায় উৎসাহিত সুনীল ঠিক করেন, ত্রিপুরা নির্বাচনে বিজেপির তরফে উপজাতি গোষ্ঠীগুলির আরও কাছে পৌঁছতে ‘ভারতমাতা’-র এই ছবিই ব্যবহার করা হবে। এরপরেই আলাদা আলাদা উপজাতি পোশাকের নমুনা সংগ্রহ করে ছবির বরাত দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট শিল্পীদের। সুনীলের মতে, ‘‘এর ফলে উপজাতি মানুষগুলি নিজেদের আরও বেশি করে ভারতের অঙ্গ হিসেবে ভাববে।’’
গত প্রায় এক বছর ধরে বিজেপির তরফে ত্রিপুরার দায়িত্ব নিয়ে রাজ্য চষে ফেলেছেন সুনীল দেওধর। বিজেপির সাংগঠনিক কাজ অনেকই জোরদার করা হয়েছে দীর্ঘ দিনের বাম-শাসিত ত্রিপুরায়। এ বার ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই প্রচার ও রণকৌশলের ভাবনাচিন্তা শুরু হচ্ছে। উপজাতি পোশাকে ‘ভারতমাতা’, সেই প্রচারেরই অঙ্গ হতে চলেছে। সুনীল দেওধর জানান, ‘‘এই কাট-আউট, ছবি টাঙানো হবে রাজ্যের সর্বত্র।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy