কুয়ো খুঁড়তে গিয়ে মিলেছিল পুরনো মূর্তি, স্তম্ভের অংশ। লখিমপুর জেলার ভিতরিপাম গ্রামে তার জেরে জারি হয় ১৪৪ ধারা। কিন্তু তিনি মাসেও গ্রামের মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা প্রাচীন স্থাপত্যের খোঁজে খননতাজ চালানো যায়নি। এ বার জিপিআর পদ্ধতিতে দেখা হবে মাটির কতটা নিচে ঢেকে রয়েছে নবম থেকে দ্বাদশ শতকের মন্দির-জনপদের ধ্বংসাবশেষ।
এ বছর ২ মে নাওবৈচা মহকুমার ভিতরিপামে দিলীপ উপাধ্যায়ের বাড়ির পিছনে কুয়ো খোঁড়ার কাজ চলছিল। তখনই শ্রমিকরা মাটির ৭ ফুট নীচে স্তম্ভ, নকশা কাটা পাথর, মূর্তি খুঁজে পান। জেলা প্রশাসন তড়িঘড়ি আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণকে (এএসআই) খবর পাঠায়। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ২৮ মে এস শ্যাম সিংহের নেতৃত্বে এএসআইয়ের ৫ সদস্যের দল ওই এলাকায় খননকার্য শুরু করে। তাঁরা একটি সিংহের মাথা, মানুষের মূর্তি উদ্ধার করেন। কিন্তু প্রায় আড়াই মিটার খোঁড়ার পরে মাটির নীচে থাকা জলস্তরে খননকাজ বাধা পায়। উদ্ধার হওয়া নমুনা থেকে এএসআইয়ের ধারণা— ওই এলাকায় নবম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে জনপদের বিকাশ হয়েছিল। যার সঙ্গে ধেমাজির মালিনী থানের মিল রয়েছে। সম্ভবত পাল যুগে এলাকাটির বিকাশ হয়। মাটির তলায় জনপদের হদিস মিললেও, উপরে লোকালয় ও নিচে জলস্তর থাকায় খনন করা যাচ্ছে
না। এই পরিস্থিতিতে এএসআই ‘গ্রাউন্ড পেনিট্রেটিং রেডিও’ বা জিপিআরের মাধ্যমে ভূস্তরের নিচে জরিপ করতে চায়।
এ নিয়ে দিল্লিতে এএসআইয়ের ডিজির দফতরে প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে। দফতর সূত্রে খবর, ওই কুয়োর আশপাশে জিপিআর সমীক্ষা চালানো হবে। দেখা হবে, মাটির কতটা নীচে, কোন অংশে, কী ধরণের কাঠামো বা স্থাপত্য রয়েছে। এর আগে কানপুর আইআইটির সাহায্যে শিবসাগরের তলাতল ঘর ও কারেং ঘরে আহোম স্থাপত্যের আশপাশে জিপিআর সমীক্ষা হয়েছে। বাইহাটা চারিয়ালির মদন কামদেব মন্দিরেও এই ধরণের সমীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy