অনেক অনেক দিন আগে মহারাষ্ট্রের রায়গড়ে পালি গ্রামে বাস করত একটি ছোট্ট ছেলে—নাম তার বল্লাল। ছোট্টবেলা থেকেই তার খুব গণেশ ঠাকুরের ওপর ভক্তি। তার বন্ধুদের সঙ্গে সে ছোট ছোট পাথরকেই গণপতি জ্ঞানে পুজো করত। এমনই একদিন খেলতে খেলতে গ্রামের চৌহদ্দির বাইরে গিয়ে তারাও একটা বিরাট আকৃতির পাথরখণ্ড দেখতে পেল। তা দেখে সবথেকে আনন্দিত হল বল্লাল। সে সঙ্গে সঙ্গে দূর্বাঘাস, বিল্বপত্র, ফুল ইত্যাদি জোগাড় করে পাথরটিকে গণেশ মূর্তি মনে করে পুজো করতে শুরু করল। ছেলেরা মন্ত্রোচ্চারণ করতে লাগল, ‘জয় গজানন, জয় গজানন’। কেউ কেউ আবার নৃত্যগীত সহকারে গণেশের বন্দনা করতে লাগল।
তারা মহা উত্সাহের সঙ্গে বাঁশ, গাছের পাতা দিয়ে তৈরি করল সুদৃশ্য মন্দির। একজন আবার গণপতির মাহাত্ম্য গল্পের মতো করে বর্ণনা করতে লাগল। এ যেন এক আনন্দের সাগরে তরি ভাসিয়ে দেওয়া। ক্ষুধা, তৃষ্ণা সব ভুলে গিয়ে তারা কেবল গণপতির আরাধনাতেই মগ্ন হল।
এ দিকে সময় বয়ে যায় কিন্তু ছেলেরা ঘরে ফিরছে না দেখে গ্রামে বাবা-মায়েরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেন। তাঁরা দল বেঁধে চললেন বল্লালের পিতা কল্যাণ বৈশ্যের গৃহে। ক্রুদ্ধ পিতা-মাতারা বল্লালের পিতাকেই দোষারোপ করতে লাগলেন।, ‘বল্লালই গ্রামের ছেলেদের জুটিয়ে গ্রামের বাইরে গিয়েছে। তার জন্যই অন্য ছেলেরা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এতখানি সময় বয়ে গেল, এখনও কেউ ঘরে ফিরল না। এ সবেরই কারণ ওই বল্লাল। তুমি এখনই তোমার ছেলেকে শাসন করো, তা নইলে গ্রামের মোড়লকে আমরা বল্লালের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে বাধ্য হব।’
ছেলের সম্পর্কে এমন গুরুতর অভিযোগ শুনে বল্লালের পিতা কৈল্যাণ বৈশ্য ক্রোধে অগ্নিশর্মা হয়ে একখানা মোটা লাঠি নিয়ে চললেন বল্লালের খোঁজে।
গ্রামের বাইরে পা রাখতেই তিনি দেখতে পেলেন ওই তো ছেলের দল গোল হয়ে বসে গণেশ পুরাণ শুনছে মন দিয়ে। তিনি কাছে গিয়ে দাঁড়ালেও কেউ তাঁকে দেখতে তো পেলই না, এতটাই নিবিষ্ট মনে পূজাপাঠে রত তারা। প্রচণ্ড রাগে কল্যাণের হিতাহিতজ্ঞান লুপ্ত হল। তিনি ছেলেদের তৈরি ছোট্ট মন্দিরটি ভেঙে ফেললেন এবং লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করলেন তাদের। ছেলের দল ভয় পেয়ে যে যে দিকে পারল দৌড়ল। কিন্তু বল্লাল গণেশের ধ্যানে এমন নিমগ্ন ছিল যে সে কিছুই দেখতে বা শুনতে পেল না। কল্যাণ বৈশ্য ছেলেকে হাতের কাছে পেয়ে হাতের মোটা লাঠিটি দিয়ে এলোপাথারি মারতে শুরু করল। দেহের চামড়া ফেটে রক্তস্রোত প্রবাহিত হতে লাগল। শেষে বল্লালকে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে কল্যাণ সমস্ত পূজার উপকরণ নষ্ট করে এবং ওই বিরাট পাথরের খণ্ডটি, যাকে তাকে গণেশ জ্ঞানে পুজো করছিল, ছুড়ে ফেলে দিয়ে বললেন, ‘দেখি এ বার কোন ভগবান তোকে বাঁচায়?’
পিতা রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে বাড়ি চলে গেলেন। ছেলে বল্লাল তার ওপরে এই অত্যাচারে যতটা ব্যথিত হয়েছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি দুঃখ পেয়েছিল পুজোর উপকরণ এ ভাবে নষ্ট হওয়ায়। সে কাঁদতে কাঁদতে গণপতির উদ্দেশ্যে বলতে লাগল, ‘প্রভু, তুমি বিঘ্ননাশক—যে তোমার পুজো করে, তার সকল বাধা-বিপত্তি তুমি দূর করো। তুমি সদাই তোমার ভক্তকে রক্ষা করো। তাহলে, প্রভু, কেন আমি তোমার পুজোয় এমন বাধার সম্মুখীন হলাম।’
অভিমানে, হতাশায় ভেঙে পড়ে ছোট্ট বল্লাল অভিশাপ দিল, ‘যে তোমার পুজো এ ভাবে বিনষ্ট করবে সে যেন অন্ধ, মূক, বধির ও কুঁজবিশিষ্ট হয়।’
ক্ষুধা, তৃষ্ণা বা শারীরিক বেদনাও ছোট্ট বল্লালকে প্রতিহত করতে পারল না। সে গণপতির মন্ত্র ধ্যান করতে করতে জ্ঞান হারাল।
গণপতি ছোট্ট বল্লালের এমন প্রগাঢ় ভক্তি দেখে অভিভূত হলেন। তিনি এক ব্রাহ্মণের ছদ্মবেশে বল্লালের সামনে এসে তাকে স্পর্শ করলেন। নিমেষে বল্লালের দেহের সমস্ত ক্ষত নিরাময় হয়ে গেল। দূর হয়ে গেল তার ক্ষুধা, তৃষ্ণা। ব্রাহ্মণকে দেখে সে বুঝতে পারল যে স্বয়ং গণপতিই এসেছেন তাকে রক্ষা করতে। সে গণপতির ধ্যান করতে লাগল। এ বার গজানন স্বরূপে প্রকাশিত হলেন। বললেন, ‘তোমার অভিশাপ সত্য হবে, পরজন্মে অশেষ দুঃখভোগ করতে হবে তাকে, যে তোমাকে অবমাননা করেছে। এ বার বলো বল্লাল কী বর চাও তুমি?’
বল্লাল উত্তর দিল, ‘আর কিছুই চাই না আমি, কেবল আপনার প্রতি অচলা ভক্তি যেন সারা জীবন অটুট থাকে। আর হে গজানন, আপনি এই স্থানেই অবস্থান করুন। আপনার কাছে যারা আসবে, তাদের সকলেই যেন জাগতিক দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তি লাভ করে।’
শ্রীগণেশ বললেন, ‘তথাস্তু, আমি এখন থেকে এখানেই অধিষ্ঠান করব এবং তোমার নাম উচ্চারিত হবে আমার নামের পূর্বে। আমি হব বল্লাল বিনায়ক।’
গণপতি বল্লালকে আলিঙ্গন করে আশীর্বাদ করলেন এবং অন্তর্হিত হলেন পাশের একটি পাথরের মধ্যে। এই পাথরে নির্মিত মূর্তিই বল্লালেশ্বর নামে খ্যাত। যে পাথরটিকে কল্যাণ বৈশ্য ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন, সেই পাথরে নির্মিত গণপতি মূর্তিকে বলা হয় ধুণ্ডি বিনায়ক। এই মূর্তি স্বয়ম্ভূ এবং বল্লালেশ্বরকে পুজোর আগে এই ধুণ্ডি বিনায়কের পুজো করতে হয়।
সুধীজন, আপনারা নিশ্চয়ই এতক্ষণ মনে মনে ভাবছেন যে, লেখার শুরুতেই কেন এই কাহিনির অবতারণা!
তা যেখানে গিয়েছিলাম, তার মাহাত্ম্য বর্ণনা করার জন্য এটি বলার প্রয়োজন ছিল বৈকী। অনেক দিন ধরেই পালির বল্লালেশ্বর—অষ্ট বিনায়কের এক বিনায়ককে দর্শনের আশা মনে মনে, অথচ যাওয়া আর হয় না। অবসেষে হঠাত্ই সে সুযোগ এসে গেল। লোকে বলে ঈশ্বরের স্থানে না টানলে যাওয়া যায় না। এ যেন ঠিক তাই। যাওয়া হবে কি হবে না করে এক রবিবারের সকাল বেলায় জোর করেই বললুম, হে মনমাঝি, ভাসাও তোমার নাও অকূল দরিয়ায়। জয় বল্লালেশ্বর নাম নিয়ে বেড়িয়ে পড়ো।
মুম্বই থেকে পালি প্রায় একশো কুড়ি কিলোমিটার পথ। আমরা গিয়েছিলাম নবি মুম্বই থেকে। তাই রাস্তা কিছুটা কম হয়েছিল। নবি মুম্বইয়ের পানভেল পেরিয়ে কার্নালা, পেন, ওয়াদকল, নাগেথানে হয়ে তার পর পালি। যাতায়াতের পথ চমত্কার মন-ভোলানো। কোথাও পাহাড়, কোথাও জঙ্গল। নাতিউচ্চ পাহাড়গুলির গায়ে পাতাবিহীন গাছগুলো মাঝে মাঝে পলাশ আর শিমূল ফুলের আগুন জ্বেলেছে। খেতগুলো থেকে ফসল কেটে নেওয়ায় তাদের এখন বড় শূন্য শূন্য দিন। কালো পিচের রাস্তা সর্পিল বিভঙ্গে উঠছে নামছে। বেশ অনেকক্ষণ চলতে চলতে যখন পালি আর মাত্র সাত আট কিলোমিটার, গাড়ি বাঁ-দিক বাক নিল। আর তার পর থেকেই পাশ দিয়ে চলতে শুরু করল ছোট্ট নদীটি, যেন পটে আঁকা ছবিটিনাম তার অম্বা। স্বচ্ছ সবুজ জল নদীটির। কোনও কোনও জায়গায় নদীখাত প্রায় শুকনো—পাথর নুড়ি বেরিয়ে পড়েছে। কেন জানি না নদীটিকে দেখে সুবর্ণরেখার কথা মনে হচ্ছিল। এই জায়গাটাও যেন সুবর্ণরেখার আশেপাশের ভূমিরূপের মতোইরুক্ষ, পাথুরে জমির বুকে একা একা নদী। কঠিন, পাথুরে বুক চিরে যেন ভালবাসার উদ্ভাস।
তা সেই নদীর ধার ধরে যেখানে গিয়ে পৌঁছলাম, সেখানেই বল্লাল বিনায়কের অধিষ্ঠান—পালি, যেটি অবস্থিত সারসগড় দুর্গ ও অম্বা নদীর মধ্যবর্তী স্থানে। পালি বিরাট এক খণ্ড পাহাড়ের পদতলে এক ছোট্ট জনপদ—গঞ্জই বলা চলে। তবে বাড়িঘর দেখে মনে হল বেশ প্রাচীন জনপদ এটি।
পালি পৌঁছতে পৌঁছতে প্রায় পৌনে একটা। তড়িঘড়ি পা চালাই মন্দির অভিমুখে। প্রথমে দর্শন করি ধুণ্ডি বিনায়ককে। তার পর মূল মন্দির। মূল মন্দিরের গঠনশৈলি অনেকটা সংস্কৃত ‘শ্রী’ অক্ষরের মতো। পূর্বমুখী মন্দির। দক্ষিণায়নের সময় যখন সূর্যোদয় হয় তখন সূর্যকিরণ সরাসরি বিনায়ককে স্পর্শ করে। মন্দিরের গর্ভগৃহ দু’ভাগে বিভক্ত। যেখানে শ্রীবল্লালেশ্বর অধিষ্ঠিত সেই গর্ভগৃহটি অপেক্ষাকৃত বড় এবং পনেরো ফুট উঁচু। তার আগে ছোট গর্ভগৃহটির উচ্চতা বারো ফুট। এখানে গণেশের বাহন মুষিক বসে আছে। হাতে তার মোদক। মন্দিরের সম্মুখ ভাগে বড় ঘরটির গঠনশৈলিও সুন্দর। এটি চল্লিশ ফুট উঁচু এবং কুড়ি ফুট চওড়া।
১৭৬০ সালে শ্রীনানা ফড়নবিশ এই মন্দিরটি নির্মাণ করেন। মন্দিরের হলটি নির্মিত হয় ১৯১০ সালে শ্রীকৃষ্ণজি রিঙ্গের দ্বারা। মন্দিরে একটি বিশাল ঘণ্টা আছে। চিমাজি আপ্পা ভাসাইতে পর্তুগিজদের পরাজিত করে এই ঘণ্টাটি নিয়ে আসেন ও মন্দিরে উত্সর্গ করেন। মন্দির চত্বরে দুটি জলাশয় আছে। মূল গর্ভগৃহে শ্রীবল্লালেশ্বর বিনায়ক পাথরের সিংহাসনে উপবিষ্ট। বিগ্রহ পূর্বমুখী এবং বিনায়কের শুঁড় বাম দিকে বাঁকানো। পিছনের দেওয়ালে ঋদ্ধি ও সিদ্ধি চামড় দোলাচ্ছেন। ভাদ্রপদ ও মাঘ মাসে এখানে উত্সব হয়।
মন্দিরে যখন প্রবেশ করলাম তখন মানুষের ভিড় প্রায় নেই-ই বললেই চলে। সরাসরি গর্ভগৃহে প্রবেশ করে শ্রীবল্লালেশ্বরের সম্মুখে দাঁড়ালাম জোড় হাতে। ভক্তের ভগবান ভক্তের মনোবাঞ্চা পূর্ণ করেন—এই বিশ্বাসে প্রার্থনা করলাম প্রিয়জনদের জন্য, নিজের জন্য। কিন্তু ভগবানের দ্বারে গিয়ে স্বার্থপরের মতো দাও দাও বলতেও মন চায় না। তাই শেষ প্রার্থনা সকলকে ভাল রেখো তুমি। তুমিই যে আদি ওঁকার—পরম ব্রহ্ম। এই মহাবিশ্ব যে তোমার থেকেই উদ্ভূত। তোমার কাছে আপন পর, প্রিয় অপ্রিয় সবই সমান। তাই কেউ যেন তোমার করুণা থেকে বঞ্চিত না হয়।
প্রার্থনা শেষ করে ঘরটিতে চুপ করে খানিক বসে রইলাম। আমার মতো বসে রয়েছে আরও অনেকে। কেউ কেউ আপন পর সকলকেই ভাগ করে দিচ্ছে পুজোর প্রসাদ। এই যে সকলকে নিজের পুজো দেওয়ার প্রসাদ বিতরণ করা, এটি এখানকার রীতি। বেলা পড়ে আসছিল। এ বার ঘরে ফেরার পালা। তার আগে নিজেদেরও পেটে কিছু দিতে হবে। সকাল থেকে প্রায় উপবাস পুজো দেওয়া হবে বলে। আমার ছোট্ট জীবন্ত গণপতিটিও উত্সাহের আতিশয্যে খিদে তেষ্টা ভুলেছেন। প্রসাদের প্যাঁড়া ছাড়াও তারও পেটে সে রকম কিছু পড়েনি। বেড়ানোর নামে তিনি প্রায় এক পায়ে খাড়া। তাই কোনও রকমে সামাল দেওয়া গেছে—বাড়িতে হলে খিদের চোটে তিনি ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধাতেন।
মন্দির থেকে বেরিয়ে কিছু দূর গিয়ে পথের ধারেই একটি রেস্তোরাঁয় মধ্যাহ্নভোজন সারা হল। যদিও সে সময়টা আর মধ্যাহ্ন নেই, অপরাহ্ন—বেলা প্রায় তিনটে বাজে।
এ বার ফিরতি পথে বাড়ি ফেরার পালা। জীবনের ঝোলাটায় কিছু পুণ্য সঞ্চয় হল। আমাদের জাগতিক হিসেব তো তাই বলে, না কি?
শ্রীবল্লালেশ্বর অষ্ট বিনায়কের এক বিনায়ক। নীচের শ্লোকটিতে মহারাষ্ট্রের অষ্ট বিনায়কের বিবরণ দেওয়া আছে।
ওঁ গং গণপতেয় নমঃ।।
স্বস্তি শ্রীগণনায়কো গজমুখো মোরেশ্বরঃ।
বল্লালস্তু বিনায়কস্তথ।।
লেণ্যাদ্রৌ গিরিজাত্মকঃ সুবরদো বিঘ্নেশ্বরশ্চোঝরে।
গ্রামে রাঞ্জণসংস্থিতো গণপতিঃ কুর্যাত্ সদা মঙ্গলম্।।
অষ্ট বিনায়কের ক্রম অনুসারে যদি তীর্থযাত্রা করা হয় তাহলে সর্ব প্রথম মোরগাঁওয়ে ময়ূরেশ্বর। তার পর সিদ্ধটেকে সিদ্ধি বিনায়ক। তৃতীয় স্থানে পালির বল্লালেশ্বর, চতুর্থ মাহাডে বরদ বিনায়ক। পঞ্চম থেউরে চিন্তামণি। তার পর লেণ্যাদ্রিতে গিরিজাত্মজ এবং ওঝরে বিঘ্নেশ্বর। সবশেষে রঞ্জনগাঁওয়ে মহাগণপতি দর্শন করে আবার মোরগাঁওয়ে ফিরে গিয়ে যাত্রা শেষ করতে হবে। এই অষ্ট বিনায়ক প্রত্যেকে স্বয়ম্ভূ এবং প্রাচীন কাল থেকে পূজিত হচ্ছেন।
আমার আর তীর্থযাত্রা ক্রম অনুসারে দর্শন হয়নি। যখন যে রকম সুযোগ এসেছে চলে গিয়েছি। লেণ্যাদ্রির গিরিজাত্মজ, ওঝরের বিঘ্নশ্বর, মাহাডের বরদ বিনায়ক এবং পালির শ্রীবল্লালেশ্বর দর্শন লাভ করেছি। অপেক্ষায় রইলাম বাকি চার বিনায়কের কাছ থেকে কখন ডাক আসে। স্ব-ইচ্ছার সঙ্গে তাঁর কৃপা মিললে তবেই যে পাব ডাক। তাঁর কৃপা পেলে যে অসাধ্য সাধন হয়।
পালি থেকে ঘরে ফেরার পথে কার্নালার জঙ্গল দেখে বড্ড ইচ্ছে করছিল হারিয়ে যেতে। আজ নয়, অন্য কোনও দিন না হয় হারিয়ে যাওয়ার ইচ্ছেটাকে ডানা মেলে উড়তে দেওয়া যাবে। আজ মনপাখি ঘরে চল। ঘর যে আমায় ডাকছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy