দাবি উঠেছিল সম্মেলনের শুরুতেই। ৫ দিনের অধিবেশনের শেষে গণনাট্য সঙ্ঘ একটি প্রস্তাব পেশ করল। যেখানে বলা হয়েছে, দেশের ‘প্রগতিশীল’ লেখক-শিল্পীদের একত্রিত করে একটি বড় মঞ্চ তৈরি করা হবে। গণনাট্য সঙ্ঘের নেতৃত্বে সেই মঞ্চ তৈরির জন্য মাস কয়েকের মধ্যেই একটি পৃথক ‘কনভেনশন’এর আয়োজন করা হবে।
শুধু প্রস্তাব নয়, গণনাট্য সঙ্ঘের অধিবেশনে পাঠ করা হয়েছে কয়েকটি সিদ্ধান্তও। অসমে জাতীয় নাগরিক পঞ্জির বিরোধিতা এবং ২০১৬ সালের নাগরিকত্ব সংশধনী বিলের বিপক্ষে সওয়াল করা হয়েছে সেই সিদ্ধান্তে। বলা হয়েছে, গণনাট্য সঙ্ঘ প্রয়োজনে রাস্তায় নেমে এর বিরোধিতা করবে। বিরোধিতা করা হয়েছে সুধা ভরদ্বাজ-সহ বিদ্বজ্জনেদের গ্রেফতারেরও। সঙ্ঘের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক রাকেশ বলেছেন, ‘‘ফ্যাসিবাদ এবং গেরুয়া সন্ত্রাস রোখার জন্য লাগাতার প্রচার চালাবে গণনাট্য। প্রয়োজনে শিল্পী-সাহিত্যিকেরা নিজেদের এলাকায় সভারও আয়োজন করবেন।’’
সম্মেলন চলাকালীন শাবানা আজমির মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা বারংবার এই দাবিই তুলেছিলেন। ‘গেরুয়া সন্ত্রাস’ প্রতিহত করার জন্য মাঠে নামার কথা বলেছিলেন সৈয়দ আখতার মির্জার মতো প্রবীণ চিত্র পরিচালকেরা। ৫ দিনের অনুষ্ঠানের শেষে সেই দাবিতেই শিলমোহর দিল গণনাট্য সঙ্ঘ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy