Advertisement
১১ মে ২০২৪
Garib Rath

ট্রেনে আপার বার্থ দেওয়ায় মেঝেতে শুতে হল প্যারালিম্পিয়ান সুবর্ণাকে

সুবর্ণা প্রায় ৯০ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধী। চলাচল করেন হুইল চেয়ারে। স্বভাবতই আপার বার্থে ওঠা তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না। সুবর্ণার অভিযোগ, ‘‘টিকিট পরীক্ষককে বিষয়টি জানাই। কম করে ১০ বার অনুরোধ করি আসন বদল করে দেওয়ার জন্য। কোনও লাভ হয়নি।’’

সুবর্ণা রাজ।—ফাইল ছবি

সুবর্ণা রাজ।—ফাইল ছবি

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০১৭ ১৬:৫৪
Share: Save:

প্রতিবন্ধী যাত্রীদের যাতে সমস্যায় পড়তে না-হয়, তার জন্য ট্রেনে একটি করে কামরায় বিশেষ সুবিধা রাখার কথা ঘোষণা করেছিল রেল মন্ত্রক। কিন্তু, এবার সেই বিশেষ কামরাতেও চরম সমস্যায় পড়তে হল প্যারালিম্পিয়ান এবং দেশের প্রাক্তন মহিলা ক্রীড়াবিদ সুবর্ণা রাজকে। অভিযোগ, প্রায় ৯০ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধী ওই যাত্রীকে কামরায় ‘আপার বার্থ’-এ দেওয়া হয়। টিকিট পরীক্ষককে সিট বদলের অনুরোধ করেও লাভ হয়নি। এমনকী, রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভুকে টুইট করেও মেলেনি কোনও উত্তর। বাধ্য হয়ে, ট্রেনের মেঝেতে শুয়ে রাত কাটাতে হয় তাঁকে। তবে, রবিবার দুপুরে রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।

শনিবার রাত ৮.৪৫। নাগপুর-নয়াদিল্লি গরীব রথে দিল্লি ফেরার কথা ছিল সুবর্ণা রাজের। সেই মতো নির্ধারিত কামরায় ওঠেন তিনি। কিন্তু, কামরায় আপার বার্থ নির্ধারিত ছিল রাজের জন্য। সুবর্ণা প্রায় ৯০ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধী। চলাচল করেন হুইল চেয়ারে। স্বভাবতই আপার বার্থে ওঠা তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না। সুবর্ণার অভিযোগ, ‘‘টিকিট পরীক্ষককে বিষয়টি জানাই। কম করে ১০ বার অনুরোধ করি আসন বদল করে দেওয়ার জন্য। কোনও লাভ হয়নি। এমনকী, মানবিকতার খাতিয়ে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি কোনও সহযাত্রী।’’

আরও পড়ুন: বিশেষ প্রতিবন্ধী কামরা ট্রেনে

সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ‘নিউজ১৮’ কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজ জানান, ‘‘ট্রেন থেকেই বিষয়টি জানিয়ে রেলমন্ত্রীকে টুইট করি। কোনও উত্তর পাইনি। কোনও উপায় না থাকায় কামরার মেঝেতে শুয়েই রাত কাটাই।’’ রবিবার সকাল ১০.২০ নাগাদ দিল্লির হজরত নিজামুদ্দিন স্টেশনে নামার পর ক্ষোভ উগড়ে দেন রাজ। তাঁর দাবি, ‘‘রেলমন্ত্রীর নির্দেশে প্রতিবন্ধীদের জন্য ট্রেনে বিশেষ কামরার চালু হয়েছে। কিন্তু, তার অবস্থা কী, সেটাও নজর দেওয়া উচিত রেলমন্ত্রীর।’’ সুবর্ণার পাশে দাঁড়িয়েছেন প্যারালিম্পিকে ভারতের প্রথম মহিলা হিসেবে পদক জেতা দীপা মালিক। তিনি বলেন, ‘‘খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। বিষয়টির তদন্ত হওয়া উচিত।’’ জাতীয় প্যারালিম্পিক কমিটির সহ-সভাপতি গুরশরণ সিংহ বলেছেন, তিনি এ বিষয়ে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন।

২০১৩-তে তাইল্যান্ড প্যারা টেবিল টেনিসে দেশের হয়ে দুটি পদক পান রাজ। অংশ নিয়েছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ায় এশিয়ান প্যারা গেমস-এও। উত্তর দিল্লির বেগমপুর থেকে স্বরাজ ইন্ডিয়া দলের হয়ে গত পুরসভা নির্বাচনে প্রার্থীও হয়েছিলেন সুবর্ণা। যদিও বিজেপি প্রার্থীর কাছে তিনি হেরে যান। বর্তমানে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করা একটি বেসরকারি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন সুবর্ণা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE