Advertisement
E-Paper

কাশ্মীরে সুশাসনই পথ, মানছেন বিশেষজ্ঞেরা

সেনা অফিসার হিসেবে দু’জন এক সময়ে কাশ্মীরে ছিলেন। আর এক জন পড়াশোনা করেছেন সেই কাশ্মীর নিয়ে। এই তিন জনেই একটি বিষয়ে এক মত — সুশাসনই কাশ্মীরকে বাঁচাতে পারে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০১৭ ০৩:১৭

সেনা অফিসার হিসেবে দু’জন এক সময়ে কাশ্মীরে ছিলেন। আর এক জন পড়াশোনা করেছেন সেই কাশ্মীর নিয়ে। এই তিন জনেই একটি বিষয়ে এক মত — সুশাসনই কাশ্মীরকে বাঁচাতে পারে।

জঙ্গি হানা, নিত্যদিন সীমান্ত পেরিয়ে গুলিবর্ষণ, সেনাবাহিনীর ‘অতিসক্রিয়তার’ অভিযোগ, সাধারণ মানুষের মৃত্যু, সেনাকে লক্ষ করে মানুষের পাথর ছোড়া— উপত্যকায় অশান্তি থামার কোনও লক্ষণই নেই। কিন্তু কোন পথে আসতে পারে সমাধান, তা নিয়ে মঙ্গলবার একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল ভারত চেম্বার। বণিকসভার ভাইস প্রেসিডেন্ট সীতারাম শর্মা পরিসংখ্যান দিয়ে তুলে ধরেন ভূস্বর্গে মৃত্যু মিছিলের কথা।

আলোচনায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল জন রঞ্জন মুখোপাধ্যায়ের দাবি, উপত্যকার বেশিরভাগ মানুষই ভারতে থাকতে চান। কিন্তু তাঁরা অসন্তুষ্ট কেন্দ্র ও রাজ্যের উপরে। প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলগুলিও তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করেনি। তাঁর পরামর্শ, কাশ্মীরে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে রাজ্যপালের শাসন জারি করা হোক। আর এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসার মেজর জেনারেল অরুণ রায়ের কথায়, ‘‘কাশ্মীরের মানুষকে ভাবাতে হবে তাঁরাও এ দেশের নাগরিক। আপাতত সেটা করতে আমরা ব্যর্থ। মোদী সরকার যে সব প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা এখনও
পালন করেনি।’’

‘অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন’-এর ডিরেক্টর অশোক ধর তুলে আনেন কলহনের লেখা রাজতরঙ্গিনীর প্রসঙ্গ। জানান, ১৩২০ সাল পর্যন্ত কাশ্মীরে বৌদ্ধদের শাসন ছিল। উপত্যকায় মুসলমান শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তার পরে। তাঁরও অভিযোগ, স্বাধীনতার পর থেকে রাজনৈতিক দলের নেতারা শুধু ক্ষমতার পিছনে ছুটে বেড়িয়েছেন। উপত্যকায় অশান্তিতে পাকিস্তানের ভূমিকার কথা মেনে নিয়ে তিন জনেরই মত, আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করতে হবে।

Kashmir Good governance
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy