গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণীর দাবি, বিজেপি ১৫০ আসন জিতবেই।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভরতসিংহ সোলাঙ্কির দাবি, ১২০টি আসন আসছে।
হার্দিক পটেলের মতে, কংগ্রেস ১০৫টি আসনে জিতবেই।
জিগ্নেশ মেবানীর মত, অন্তত ৯৫টি আসন কংগ্রেস পাবেই।
সোমবার সকালে গুজরাতের ভোটগণনা শুরু নিয়ে উত্তেজনা এতটাই যে, আর এক রাজ্য হিমাচল প্রদেশের বিধানসভার ভোটগণনার কথা অনেকে প্রায় ভুলেই গিয়েছেন!
কংগ্রেস জিতলে তা রাহুল গাঁধীর ‘জাদুর ছোঁয়া’ আখ্যা পাবে। কিন্তু হারলে যুক্তি কী হবে, টিভি-তে দলের মুখপাত্রেরা কী বলবেন, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে।
উল্টো দিকে ১০০ আসনে জিতলেই স্বস্তি পাবেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু যদি সত্যিই তারা গুজরাতে কমবেশি ১৫০ আসন পায়, তা হলে ২০১৯-এর লোকসভা ভোট নিয়ে অন্য রকম ভাবনাচিন্তা রয়েছে দলের অন্দরে।
আরও পড়ুন: গুজরাতে ভাল ফল হবে না, বিজেপি সাংসদের মন্তব্য ঘিরে জল্পনা
২০১৮-র শেষে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়ে ভোট। তিনটি রাজ্যেই এখন বিজেপি ক্ষমতায়। কিন্তু তিনটি রাজ্যেই সরকার বিরোধিতার জোরালো হাওয়া।
হইহই করে গুজরাতের ভোটে বিজেপি জিতলে ২০১৯-এর লোকসভা ভোট এগিয়ে এনে তিনটি রাজ্যের বিধানসভার সঙ্গেই করে দেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে দলে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। এমনিতেই নরেন্দ্র মোদী লোকসভা ও বিধানসভা ভোট এক সঙ্গে করার পক্ষে। মোদীর যুক্তি, এতে বারবার আদর্শ আচরণবিধি মানতে গিয়ে সরকারি কাজ আটকে থাকে না। বিজেপি নেতারা বলছেন, লোকসভা ভোট এগোলে মানুষকে বোঝানো যাবে, আদর্শগত অবস্থানের জন্য মোদী নিজের প্রধানমন্ত্রিত্বের মেয়াদের কিছুটা জলাঞ্জলি দিতেও পিছপা নন। রাজনৈতিক অঙ্ক অবশ্য অন্য। তা হল, মোদী-হাওয়ায় রাজস্থান-মধ্যপ্রদেশ-ছত্তীসগঢ়ও জিতে নেওয়া।
অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে এর ফল হয়েছিল উল্টো। ২০০৩-এ রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়ের ভোটে বিপুল জয় দেখে গোটা ভারতেই ‘শাইনিং ইন্ডিয়া’-র হাওয়া চলছে ধরে নিয়েছিলেন বিজেপি নেতারা। বাজপেয়ী রাজি ছিলেন না। কিন্তু লালকৃষ্ণ আডবাণীর চাপে ২০০৪-এর লোকসভা ভোট এগিয়ে আনেন তিনি এবং ভোটে হারে বিজেপি জোট। এ বার মোদী-অমিত শাহ কী করবেন, তা সোমবারের ফলের উপরে অনেকটাই নির্ভর করছে।
গুজরাতের ভোট নিয়ে রবিবারও অমিত শাহ দলের পদাধিকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। রাহুলও গুজরাতের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ রিপোর্টের সঙ্গে বুথফেরত সমীক্ষার ফল মিলছে না কেন, তা নিয়ে কথা হয়েছে। কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট ছিল, ১০৫ থেকে ১১০টি আসন জিতে সরকার গড়বে দল। অথচ সব বুথফেরত সমীক্ষা বলছে, বিজেপি জিতবে। এই অবস্থায় ইভিএম-এ কারচুপির কথা বলছে কংগ্রেসের একাংশ। হার্দিক পটেল ইতিমধ্যেই ইভিএম-এ কারচুপির অভিযোগ তুলে দিয়েছেন। যা দেখে বিজেপি নেতারা বলছেন, হারের গন্ধ পেয়ে আগে থেকেই অজুহাত খোঁজা শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy