শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের লক্ষ্যে ভারত ও চিনের মধ্যে পঞ্চশীল চুক্তির ৬০ বছর উপলক্ষে আগামি কাল বেজিং যাচ্ছেন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি। তার আগে বেজিংকে সদর্থক বার্তা দিতে নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভা চিনের সঙ্গে শিল্প পার্ক গঠনের সমঝোতা স্বাক্ষরের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিল। বুধবার এই কথা জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। মনমোহন জমানাতেই উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, অন্ধ্রপ্রদেশে শিল্প পার্ক তৈরির ব্যাপারে আলোচনা শুরু হয়েছিল। নতুন সরকার আসার পরে এই প্রস্তাবটি নিয়ে সবিস্তার আলোচনা করতে চান মোদী। কিন্তু উপরাষ্ট্রপতির সফরের এক দিন আগে মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকে এই সমঝোতার জন্য নীতিগত মঞ্জুরি দিল মোদী সরকার। আবার সমঝোতা পত্র স্বাক্ষর করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নিয়ে বেজিংয়ের উপরে একটি চাপও বজায় রাখা হল। এই সফরে মোদীরও আমন্ত্রণ ছিল। কিন্তু সামনের মাসেই ব্রিকসের সম্মেলনে যোগ দিতে ব্রাজিলে যাচ্ছেন মোদী। সেখানে চিনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও তাঁর দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হবে। চলতি বছরে আরও কয়েকটি সম্মেলনেও চিনের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ রয়েছে। তার আগে চিনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে চায় মোদী সরকার।
কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও মোদী একাধিক বার চিনে গিয়েছেন। চিন অনেক আগেই এ দেশে শিল্প পার্ক গঠনের উৎসাহ দেখিয়েছে। ভারতের মোট বাণিজ্যের শীর্ষে রয়েছে চিন। এর পর আমেরিকা ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির স্থান। কিন্তু চিনের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যের ঘাটতিও রয়েছে। সেটি মেটাতে চান মোদী। উপরাষ্ট্রপতির চিন সফরে এই বিষয় নিয়ে সুনির্দিষ্ট আকারে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার সুযোগ কম। কিন্তু নিরপেক্ষ বিদেশ নীতির মাধ্যমে চিনের সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে দিল্লির নতুন সরকার। সে কারণে মোদীর জাপান, আমেরিকা সফর সুনিশ্চিত হলেও চিনে যাতে কোনও ভিন্ন বার্তা না যায়, তাই আজ এই সিদ্ধান্ত নিল মোদী সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy