Advertisement
১০ ডিসেম্বর ২০২৪

সাহিত্যিকের স্মরণসভা

মণিপুরি ভাষা সাহিত্যের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব রাজকুমার সুরেন্দ্র সিংহকে স্মরণ করল মণিপুরি সাহিত্য পরিষদের শাখা ‘অরং জারিবন মশা’। সেই উপলক্ষ্যে হাইলাকান্দি জেলার নিত্যানন্দপু্রের মগলাল গ্রামে দু’দিনের সাহিত্য সংস্কৃতি আসর বসে। সাহিত্যিক রাজকুমারকে তাঁর ৯০-তম জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষ সমবেত হয়েছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হাইলাকান্দি শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০১৫ ০৩:৫৭
Share: Save:

মণিপুরি ভাষা সাহিত্যের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব রাজকুমার সুরেন্দ্র সিংহকে স্মরণ করল মণিপুরি সাহিত্য পরিষদের শাখা ‘অরং জারিবন মশা’। সেই উপলক্ষ্যে হাইলাকান্দি জেলার নিত্যানন্দপু্রের মগলাল গ্রামে দু’দিনের সাহিত্য সংস্কৃতি আসর বসে। সাহিত্যিক রাজকুমারকে তাঁর ৯০-তম জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষ সমবেত হয়েছিলেন। ১৫ জুন ‘অরং জারিবন মশা’র সভাপতি খগেন্দ্র সিংহের সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বরাক উপত্যকা সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নীতিশ ভট্টাচার্য। সাহিত্য আলোচনায় অংশ নিয়ে বিশিষ্ট মণিপুরি সাহিত্যিক এন ধনঞ্জয় সিংহ বলেন, ‘‘প্রয়াত সাহিত্যিক রাজকুমার সুরেন্দ্র ছিলেন মানবতার বার্তাবাহক। তাঁর সাহিত্যকর্মে বার বার মানবতার কথাই উচ্চারিত হয়েছে।’’ তিনি রাজকুমারের সাহিত্য জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের মুখ্য আলোচক বরাক বঙ্গের কেন্দ্রীয় সভাপতি নীতিশবাবুও প্রয়াত সাহিত্যিককে শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, ‘‘রাজকুমার বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। সারা ভারতবর্ষ ঘুরেছেন। দেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা প্রতিফলিত হয়েছে তাঁর সাহিত্য সৃষ্টিতে।’’ নীতিশবাবু জানান, রাজকুমার সুরেন্দ্র শান্তিনিকেতনেও পড়াশোনা করেন। সেই সময় তিনি রবীন্দ্র দর্শন, রবীন্দ্র সাহিত্য ও রবীন্দ্র মননের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। সাহিত্য সাধনার পাশাপাশি তিনি পুডুচেরিতে শ্রীঅরবিন্দ আশ্রমে আধ্যাত্মিকতার সাধনাও করেছিলেন। তাঁর সাহিত্যে তাই ভালবাসার সুরও প্রতিধ্বনিত হয়েছে। বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষকে নিয়ে মণিপুরি ওই সাহিত্যিকের জন্মতিথি পালনের উদ্যোগকে তিনি সাধুবাদ জানান। মাতৃভাষায় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বেঁচে না থাকলে একটি জাতি ক্রমে ধবংস হয়ে যায়, সেই পরিপ্রেক্ষিতে সাহিত্যিক রাজকুমার সুরেন্দ্রকে স্মরণ করা তাৎপর্যপূর্ণ বলে নীতীশবাবু মন্তব্য করেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘মণিপুরি সাহিত্য-সংস্কৃতিররক্ষার দায়িত্ব মণিপুরি সমাজকেই নিতে হবে।’’ বরাক বঙ্গের কর্তা কবি জিতেন্দ্র নাথ বলেন, ‘‘বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের উদ্যোগে মণিপুরি নৃত্য বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করেছে। সুরেন্দ্রর জন্মজয়ন্তী পালনের এই উদ্যোগও আনন্দের বার্তাবাহক।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Homage Rajkumar Serendra Singha Manipuri Nityanandapur rabindranath tagore
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy