মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রীর কাছে বণিকসভার প্রশ্ন ছিল, করোনা-পরবর্তী পরিস্থিতিতে অনলাইন শিক্ষার পরিকাঠামো সকলের দরজায় পৌঁছে দেওয়া যাবে কী করে? কী ভাবে তার সুবিধা নেবেন দেশের প্রত্যন্ত প্রান্তের পড়ুয়ারা? গবেষণায় আমেরিকা, চিনের মতো দেশকে টেক্কা দেওয়ার টোটকাই বা কী? দেশের সেরা মেধাবীদের এখানেই ধরে রাখতে কী পদক্ষেপ করবে সরকার? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর মন্ত্রী ভিডিয়ো-কনফারেন্সে ‘ছুঁয়ে গেলেন’ ঠিকই। কিন্তু স্পষ্ট পথ নির্দেশিকা তাতে মিলল না। বরং বক্তব্যের বড় অংশ জুড়ে রইল তক্ষশীলা, নালন্দা, শ্রীকৃষ্ণ আর করোনার সঙ্কটকালে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বের গুণগান!
বণিকসভা অ্যাসোচ্যাম আয়োজিত ভিডিয়ো-আলোচনায় বৃহস্পতিবার মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্কের সামনে প্রশ্নগুলি তুলেছিলেন বণিকসভার কর্তারা। উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন, নিজের দেশের মেধাকে বাইরে থেকে ফিরিয়ে আনতে চিন গবেষণার সুযোগ-সুবিধা কিংবা পরিকাঠামোর পিছনে যে পরিমাণ অর্থ ঢালছে, ভারত তার ধারেকাছে কি না। জানতে চেয়েছিলেন, কী করলে উল্টে ভিন্ দেশি পড়ুয়ারা উচ্চশিক্ষার জন্য আসবেন এই দেশে। তার উত্তর যে মন্ত্রী দেননি, তা নয়। কিন্তু সেখানে পৌঁছেছেন দেশের ‘গৌরবময় ইতিহাস আর উজ্জ্বল বর্তমানে’র পথ ঘুরে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শুরুতেই মনে করিয়ে দেন, ভারতের সমস্ত ছিল। খোওয়া গিয়েছে এত দিনের দাসত্বের অভ্যেসে। তাঁর কথায়, “ভারতই তো বিশ্বগুরু ছিল। সারা পৃথিবীর পড়ুয়ারা ভিড় করতেন তক্ষশীলা, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে।” এক শিল্পকর্তার কথায়, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয় মানেই তক্ষশীলা, বিমান মানেই পুষ্পক রথ আর শল্য চিকিৎসা মানেই যদি গণেশের শরীরে হাতির মাথা বসানোর উদাহরণ টানা হয়, বলা হতে থাকে যে আগে দেশে সবই ছিল, তা হলে তো আর নতুন করে গবেষণার জন্য কিছু বাকি থাকে না!’’