Advertisement
E-Paper

গন্ডার শিকার বন্ধে তদন্তের সুপারিশ প্রমীলারানির

বন শিবিরের শোচনীয় অবস্থা, পর্যাপ্ত পোশাক ও অস্ত্রের অভাব ও কম বেতনের জন্য অরণ্যরক্ষায় উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন বনকর্মীদের একাংশ। এমন মন্তব্য করলেন খোদ বনমন্ত্রী!

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০১৬ ০৩:৩৪

বন শিবিরের শোচনীয় অবস্থা, পর্যাপ্ত পোশাক ও অস্ত্রের অভাব ও কম বেতনের জন্য অরণ্যরক্ষায় উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন বনকর্মীদের একাংশ। এমন মন্তব্য করলেন খোদ বনমন্ত্রী!

গন্ডার-শিকার নিয়ে সরব বিরোধীদের প্রশ্নের জবাবে বনমন্ত্রী প্রমীলারানি ব্রহ্ম আজ জানান, চোরাশিকারে কয়েক জন বনকর্মীও জড়িত থাকতে পারেন। তাই ওই সব ঘটনার তদন্তভার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দিতে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।

ক্ষমতায় আসার আগে বিজেপি গন্ডার শিকার বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিলেও, এখনও তা চলছে— তা নিয়ে আজ বিধানসভায় সরব হন বিরোধীরা। কংগ্রেস বিধায়ক অজন্তা নেওগ বলেন, ‘‘মন্ত্রী কাজিরাঙায় গিয়ে বলেছেন গন্ডার শিকারে জড়িতদের মানুষই শাস্তি দেবেন। এই ধরণের কথা এক দিকে মানুষকে আইন হাতে তুলে নিতে উস্কানি দেয়, অন্য দিকে চোরাশিকারিরা উৎসাহ পায়।’’

প্রমীলাদেবী জানান, তিনি গন্ডার শিকার নিয়ে প্রথম বার কাজিরাঙায় বৈঠক করার সময়ই সেখানে চোরাশিকার করা হয়। তখনই তাঁর আশঙ্কা হয়— গন্ডার শিকার পরিকল্পিত। এর পিছনে বনকর্মীদের একাংশের হাত থাকতে পারে। মন্ত্রী বলেন, ‘‘যে গ্রামগুলিতে শিকারিরা

আশ্রয় পায়, সেখানে গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেছি। বনকর্মীদের সঙ্গে শিবিরে গিয়ে কথা বলেছি। দেখেছি তাঁদের দুরবস্থা। তাঁদের হাতে ভাল অস্ত্র নেই। নেই ভাল পোশাক। এ সবের জন্য অনেকে কাজের উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন।’’ মন্ত্রী জানান, বনরক্ষীদের হাতে আধুনিক অস্ত্র, পোশাক, টহলদারি গাড়ি, রাতে দেখার যন্ত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

প্রাক্তন বনমন্ত্রী রকিবুল হুসেন বলেন, ‘‘গন্ডার শিকার করা হলে রাজনীতি না করে সকলে মিলে সরব হওয়া উচিত।’’ বিধায়ক পদ্ম হাজরিকা জানান, স্বরাষ্ট্র দফতর শেষ দফায় বন দফতরকে .৩০৩ রাইফেলের দেড় হাজার বুলেট দিয়েছিল। একইসঙ্গে জানিয়ে দিয়েছিল, এর পর আর বুলেট দেওয়া যাবে না। কারণ, উৎপাদন বন্ধ। সে ক্ষেত্রে বনরক্ষার ভবিষ্যৎ কী হবে?

প্রমীলারানি জানান, কাজিরাঙায় গন্ডার শিকার নিয়ে সিবিআইকে আগে তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল। তেমন লাভ হয়নি। এ বার তাই এনআইএ তদন্ত করানোর জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালকে অনুরোধ জানাবেন। মন্ত্রী আরও জানান, চলতি বছর জুলাই পর্যন্ত রাজ্যে ১৫টি গন্ডার শিকার হয়েছে। ২০০১ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত শিকার হওয়া গন্ডারের সংখ্যা ২৩৯টি। ধরা পড়েছে ৬৬১ জন শিকারি।

বন্যপ্রাণী ও মানুষের সংঘাত প্রসঙ্গে বনমন্ত্রী জানান, গত পাঁচ বছরে ৩৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৯৭ জন গত বছর মারা গিয়েছেন। মানুষের হাতে বন্যপ্রাণী মারা যাওয়ার নথিভুক্ত সংখ্যা ৪৩টি। এর মধ্যে ১১টি হাতি ও ৩২টি চিতাবাঘ। সব চেয়ে বেশি মানুষ মেরেছে হাতি। তাই লোকালয়ের বাইরে সৌরশক্তি চালিত বিদ্যুতের বেড়া বসানো হচ্ছে। হাতি চলাচলের পথ দখলমুক্ত করা হচ্ছে। গ্রামবাসীদের সার্চলাইট, পটকা, কেরোসিন দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও জানান, রাজ্যে মোট ১০ লক্ষ ৮৯ হাজার ৩৯৬ হেক্টর বনভূমি রয়েছে। তার মধ্যে বেদখল হওয়া জমির পরিমাণ তিন লক্ষ ৪৩ হাজার ৪১৪ হেক্টর।

rhino assam
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy