বাগ্দান: তেজপ্রতাপ ও ঐশ্বর্য।
পুত্র তেজপ্রতাপের আংটি-বদল। আর সেই অনুষ্ঠানেই নেই লালু প্রসাদ। এ যেন যাদব পরিবারের ‘শিবহীন যজ্ঞ’। হাসি-গান-হুল্লোড়ের মধ্যেও কোথায় যেন এক বিষাদের সুর। পুত্রের টুইটারে ভেসে বেড়ায়, ‘মিস ইউ পাপা’।
আজ প়টনার পাঁচতারা হোটেলের ব্যাঙ্কোয়েট হলে তৈরি হয়েছিল মঞ্চ। সাজানো হয়েছিল কলকাতা ও বেঙ্গালুরু থেকে আনা ফুলে। তেজপ্রতাপের বাবা লালু এবং মা রাবড়ী দেবী, দু’জনেই বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। পাত্রী ঐশ্বর্য রায় সমাজবিদ্যায় স্নাতকোত্তর। তাঁর ঠাকুরদা দারোগাপ্রসাদ রায়ও বসেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে। বাবা চন্দ্রিকাপ্রসাদ বিধায়ক তথা আরজেডি নেতা।
আজ আংটি-বদল করে বাগ্দানের অনুষ্ঠানে পাত্রীর পরনে ছিল সবুজাভ নীল লেহঙ্গা-চুনরি, পাত্র পরেছিলেন গাঢ় নীল গলাবন্ধ স্যুট। দু’জনকে একে একে আশীর্বাদ করেন বয়োজ্যেষ্ঠরা। রাবড়ী দেবী বলেন, ‘‘বাড়িতে বৌ আসছে, আমি খুশি।’’ এ বার কি তেজস্বীর পালা? হেসে ফেলেন তিনি।
গত ডিসেম্বরে পশুখাদ্য মামলায় সাজা হওয়ার পর থেকেই জেলবন্দি লালু প্রসাদ। এখন চিকিৎসার জন্য রয়েছেন দিল্লির এইমসে। তেজপ্রতাপ তো বটেই, তাঁর মা রাবড়ী এবং বড় দিদি মিসা ভারতীও বলে ফেললেন যে, লালু জেলের বাইরে থাকলে জৌলুস বেড়ে যেত এই অনুষ্ঠানের। মিসার কথায়, ‘‘বাবা এখানে উপস্থিত নেই, এটা ভাবতেই পারছি না। তিনি থাকলে এই অনুষ্ঠান অন্য রকম হত।’’
একই কথা বলছেন আরজেডি নেতারা। আক্ষেপের মতোই শোনাল তাঁদের দেওয়া একটা হিসেব। ওই নেতারা জানালেন, আজ আমন্ত্রিতের সংখ্যা ছিল মেরেকেটে দু’শো। লালু থাকলে আমন্ত্রিত হতেন দু’হাজার। আর হাজির হতেন দশ হাজার।
আজকের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না পেয়ে ‘দুঃখিত’ বহু
নেতা-বিধায়ক। আগামী ১২ মে তেজপ্রতাপ-ঐশ্বর্যের বিয়ে। নেতাদের আশা, সে দিন নিশ্চয় হাজির থাকবেন ‘বরকর্তা’ লালুপ্রসাদ। হাজির থাকবেন তাঁরাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy