লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি)-য় উত্তেজনা কমাতে দ্রুত ‘মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছনো’ (ডিসএনগেজমেন্ট)-র বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে রবিবারের সামরিক স্তরের বৈঠকে। সোমবার সরকারি বিবৃতিতে নবম দফার কোর কমান্ডার পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠককে ‘ইতিবাচক, বাস্তববাদী এবং গঠনমূলক’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
নবম দফার বৈঠকের পরে দুই সেনার তরফে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্র। সেখানে ‘সঙ্ঘাতের ক্ষেত্রগুলি’তে দ্রুত সেনা পিছিয়ে উত্তেজনা প্রশমনের কথা বলা হয়েছে। সিকিমের নাকু লা সীমান্তে ভারত ও চিনা সেনার সঙ্ঘর্ষের পরেও নয়াদিল্লির এই অবস্থান ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন কূটনীতি ও সামরিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
সরাকরি বিবৃতি জানাচ্ছে, ‘উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে ধারাবাহিক আলোচনার পাশাপাশি দু’পক্ষই মুখোমুখি অবস্থানকারী বাহিনীকে সংযত রাখার বিষয়ে একমত হয়েছে। ‘সেনা সংখ্যা কমানো’ (ডিএসক্যালেশন)-র বিষয়টি দশম দফার বৈঠকে আলোচনা হবে’। বর্তমানে পূর্ব লাদাখে দু’পক্ষের প্রায় ৫০ হাজার করে সেনা মোতায়েন আছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর।