আপাতত লাদাখ যাওয়া পিছিয়ে দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। আগামিকাল সেনা প্রস্তুতি দেখতে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে যাওয়ার কথা ছিল রাজনাথের। কিন্তু আজ সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর লাদাখ সফরসূচি পরিবর্তন করা হয়েছে। কী কারণে ওই পরিবর্তন, কবে যাবেন তা নিয়ে নীরব প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তবে সূত্রের মতে, গত মঙ্গলবার উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষ্যে দু’দেশের সেনা কমান্ডার স্তরে বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠকের পরে সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে চিন কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ করে কি না, তা আগে দেখে নিতে চাইছে দিল্লি। সেই কারণে আপাতত পিছিয়ে দেওয়া হল রাজনাথের সফর।
বেজিংকে পাল্টা বার্তা দিতেই প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে লাদাখে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। তিনি গেলে, সীমান্তে উত্তেজনা শুরুর পরে এটিই হত রাজনাথের প্রথম লাদাখ সফর। তাঁকে পাঠানোর সিদ্ধান্তের পিছনে অন্যতম কারণ ছিল— চিন সেনার অনুপ্রবেশ যে দিল্লি ভাল ভাবে নিচ্ছে না এবং সীমান্ত প্রশ্নে মোদী সরকার যে কোনও আপসের পথে যাবে না, সেই বার্তা দেওয়া। একই সঙ্গে দেশের মানুষকেও বোঝানো যে, জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে কোনও সমঝোতায় রাজি নয় সরকার।
কিন্তু সিদ্ধান্ত নিয়েও শেষে পিছিয়ে এল কেন্দ্র। প্রতিশ্রুতি মতো চিন কোনও আস্থাবর্ধক পদক্ষেপ করে কি না, সেটা আগে দেখে নেওয়াই ভাল মনে করছে তারা। কারণ উত্তেজনাময় এই সময়ে রাজনাথ লাদাখ গেলে সেনার মনোবল যেমন বাড়ত, তেমনই ফরওয়ার্ড পোস্টে রাজনাথের উপস্থিতি চিনকে কড়া প্রত্যাঘাতের বার্তাও দিত। এই মুহূর্তে কেন্দ্র সেটা চাইছে না। শুরু থেকেই ভারত আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর পক্ষপাতী। আপসহীনতার বার্তা দিতে গিয়ে আলোচনার সুর কাটুক, সেটা কাম্য নয় কেন্দ্রের। সেনা পিছনোর প্রশ্নে চিন উদ্যোগী হয় কি না, দেখে নিয়েই রাজনাথকে পাঠাতে চান মোদী।