ঝিমিয়ে পড়া সীমান্ত-আলোচনা ফের চাঙ্গা হতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংয়ের বৈঠকে। যেখানে অনুঘটক হল, উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে ভারতের আকাশসীমায় সম্প্রতি চিনা সেনার দু’টি হেলিকপ্টারের ঢুকে পড়া।
সাম্প্রতিক অতীতে নানা বিষয়ে তপ্ত হয়েছে ভারত-চিন সম্পর্ক। কখনও চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর, কখনও ‘ওবর প্রকল্প’ কিংবা এনএসজি-তে ভারতের অন্তর্ভুক্তি, অথবা দক্ষিণ চিন সাগরের একাধিপত্ব। কূটনীতিকদের মতে, এ সবের চাপে দু’দেশের সীমান্ত-আলোচনাই চলে গিয়েছিল পিছনের সারিতে। কিন্তু উত্তরাখণ্ডে সম্পূর্ণ নতুন ধাঁচে চিনের সীমান্ত লঙ্ঘনের ঘটনায় প্রবল উদ্বেগে সাউথ ব্লক।
এই পরিস্থিতিতে আগামিকাল কাজাখস্তানের আস্তানায় সাংহাই কোঅপরেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর মঞ্চে মোদী-চিনফিং বৈঠক। সেখানেই বিষয়টি তুলে ধরতে চায় ভারত। সীমান্ত নিয়ে দীর্ঘদিন বিশেষ প্রতিনিধিদের বৈঠক বসেনি দু’দেশের মধ্যে। ইতিমধ্যে অরুণাচল প্রদেশে দলাই লামার সফর নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় বেজিং। চিনা সরকারি সংবাদমাধ্যম বলেছিল, ‘এর জবাব পাবে ভারত।’ তার পরেই দুই চিনা কপ্টারের আকাশসীমা লঙ্ঘন।
ভারতের উদ্বেগের কারণ, এর আগে অরুণাচল এবং লাদাখ সেক্টরে বারবার চিনের তরফে সেনা অনুপ্রবেশ হয়েছে ঠিকই, কিন্তু উত্তরাখণ্ড এত দিন মোটের উপরে সমস্যাহীন ছিল। ২০০০ সালের জুন থেকে হিমাচল-উত্তরাখণ্ড সীমান্তের কয়েকটি বর্ডার পোস্ট আইটিবিপি জওয়ানেরা নিরস্ত্র অবস্থায় পাহারা দেন। সূত্রের খবর, শীর্ষ বৈঠকে এই অনুপ্রবেশের কথা বলে সীমান্ত নিয়ে তৈরি হওয়া বিশেষ প্রতিনিধি দলের (দু’দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা যার সদস্য) আলোচনা ফের শুরু করার জন্য চাপ দেবে ভারত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy