E-Paper

জি২০-তে অর্থপূর্ণ ফলের আশা ভারতের

গত মাসে বেঙ্গালুরুতে জি২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির অর্থমন্ত্রী এবং নয়াদিল্লিতে বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে কোনও যৌথ বিবৃতিতে উপনীত হওয়া যায়নি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:৩৬
Amitabh Kant.

ভারতের শেরপা অমিতাভ কান্ত। ছবি: সংগৃহীত।

আগামী সেপ্টেম্বরে জি২০-র শীর্ষ বৈঠকের আগে ফাটল স্পষ্ট। তবুও একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশের আশা দেখছে ভারত।

গত মাসে বেঙ্গালুরুতে জি২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির অর্থমন্ত্রী এবং নয়াদিল্লিতে বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে কোনও যৌথ বিবৃতিতে উপনীত হওয়া যায়নি। কিন্তু তা সত্ত্বেও আশা ছাড়তে নারাজ সাউথ ব্লক। কেরলে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের শেরপাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সভাপতি রাষ্ট্র ভারতের শেরপা অমিতাভ কান্ত জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরের শীর্ষ বৈঠকে জি২০-র যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা সম্ভব হবে। তাঁর কথায়, “নিজেদের মধ্যে পুরোদমে আলোচনা চলছে। একটি অর্থপূর্ণ ফলাফল প্রকাশের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।”

আরও এক পা এগিয়ে তিনি জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে নাকি ৯৯ শতাংশ কাজ এগিয়েছে। অতিমারি যে গোটা বিশ্বের অর্থনীতিতে বিশেষ প্রভাব ফেলেছে, তা-ও উল্লেখ করেন তিনি। এর পরই অনেক দেশে মূল্যবৃদ্ধি চরমে পৌঁছেছে। কোভিড ও মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব অনেক উন্নয়নশীল দেশে পড়েছে। কী ভাবে তার মোকাবিলা করা যায়, তা নিয়েও শেরপা বৈঠকে আলোচনা হয় বলে জানিয়েছে নয়াদিল্লি। সব মিলিয়ে, জি২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির উন্নয়ন ও উদীয়মান বাজারের উপরই নজর দেওয়া হচ্ছে বলে অভিমত শেরপাদের।

কূটনৈতিক শিবির অবশ্য বলছে, আগামী সেপ্টেম্বরের আগে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি কেমন থাকবে, তার উপরেই অনেকটা নির্ভর করছে জি২০ শীর্ষ বৈঠকের সাফল্য। কারণ এর আগে অর্থমন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে নিয়মরক্ষার্থে একটি করে নির্যাস-নথি (আউটকাম ডকুমেন্ট) প্রকাশ করে তাতে সবক’টি দেশের সিলমোহর দেওয়া হয়েছিল মাত্র। কিন্তু যৌথ বিবৃতি প্রকাশের ধারে কাছে আসা সম্ভব হয়নি। মূল সমস্যা সমাধানের প্রশ্নে ঐকমত্য তৈরি হয়নি। ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিভক্ত বিশ্বের ছায়া এতটাই ভাগ করে রেখেছে ভূ-রাজনীতিকে।

কূটনৈতিক শিবিরের মতে, আজকের বিশ্বের হাল ফেরাতে যুদ্ধ বন্ধের প্রশ্নে আন্তর্জাতিক সহমত তৈরি করা এখন অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে জি২০-র মত বিশাল মঞ্চে যদি তা করা যায়, তবেই রাশিয়ার উপর যুদ্ধ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রকৃত চাপ তৈরি হবে। তা না হলে ভারত বা যে কোনও দেশ শত গলা ফাটালেও শক্তি, খাদ্য, সারের ক্ষেত্রে কোনও রকম নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে না। পাশাপাশি, আর্ন্তজাতিক অর্থ ব্যবস্থা, বণ্টন ব্যবস্থা অথবা ঋণের ভারে নুয়ে থাকা গরিব দেশগুলির হালও পাল্টাবে না।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

G-20 India

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy