সময়সীমা ডিসেম্বর, ২০১৮। তার মধ্যেই পাকিস্তান সীমান্ত পুরোপুরি সিল করে দেওয়া হবে বলে আজ জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। ভারত-পাক সীমান্তের নানা অংশে প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতার কথা মাথায় রেখে এই কাজে প্রযুক্তির উপরেই ভরসা করতে চাইছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
এ দিন পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী চার রাজ্য জম্মু-কাশ্মীর, পঞ্জাব, রাজস্থান ও গুজরাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজনাথ। ছিলেন বিএসএফের শীর্ষ কর্তারাও। বৈঠকের পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘২০১৮-এর মধ্যে সীমান্ত পুরো সিলের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের উপরে নজর রাখবেন স্বরাষ্ট্রসচিব ও বিএসএফের কর্তারা। নজরদারি করবেন সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যসচিবরাও।’’
রাজনাথ জানিয়েছেন, প্রযুক্তি ব্যবহার করেই সীমান্ত পুরোপুরি সিল করতে চাইছে কেন্দ্র। গুজরাত সীমান্তে স্যার ক্রিক ও অন্য ক্ষেত্রে নদীবহুল এলাকার কথাও তাঁদের মাথায় রয়েছে, জানান রাজনাথ। সীমান্তে সুরক্ষার জন্য নতুন গ্রিড তৈরি করতে চায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। জম্মু-কাশ্মীরে সুরক্ষার জন্য তৈরি গ্রিডের মতোই এতে বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা থাকবেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, স্যার ক্রিক বা নদীবহুল এলাকায় নজরদারির জন্য বিএসএফের ভাসমান বর্ডার আউটপোস্টের সংখ্যা বাড়ানো হবে। এই আউটপোস্টগুলি বস্তুত বড় মাপের জলযান। তাতে ৩০-৩৫ জন জওয়ান থাকতে পারেন। বিওপি থেকে রেডার ও অন্য যন্ত্রপাতির মাধ্যমে নজরদারি চালানো হয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে ‘‘গ্রাউন্ড পেনিট্রেটিং রেডার’ (জিপিআর) ব্যবহার করতে চায় বিএসএফ। জম্মু-কাশ্মীরে সীমান্তের ওপার থেকে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে অনুপ্রবেশের নজির আছে। এই ধরনের চেষ্টা রুখতে জিপিআর খুব প্রয়োজনীয়। তা ছাড়া থার্মাল ইমেজার, মাউন্টেড হাই-ডেফিনেশন ক্যামেরার মতো উপকরণ আরও বেশি ব্যবহার করতে চান তাঁরা। বাড়ানো হবে ড্রোনের নজরদারি। সম্প্রতি ইজরায়েল থেকে প্রচুর আধুনিক উপকরণ আমদানি করেছে দিল্লি।
এতে যে পুরোপুরি কাজ নাও হতে পারে তা মেনে নিচ্ছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও বিএসএফের কর্তারা। এক কর্তার বক্তব্য, ‘‘ইজরায়েল ও ভারতের সীমান্তের ভৌগোলিক অবস্থা এক নয়। সিয়াচেনে অনেক সময়েই তুষার ধসে সব যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতির মোকাবিলা তো ইজরায়েলিদের করতে হয় না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy