Advertisement
E-Paper

অশিক্ষক কর্মী নিয়োগে ‘অনিয়ম’ বিশ্ববিদ্যালয়ে

আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অশিক্ষক কর্মী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুললেন আকসার প্রাক্তন সভাপতি প্রদীপ দত্তরায়। তাঁর অভিযোগ, গত দু’মাসে কাজে যোগ দিয়েছেন ১১ জন নতুন করণিক (এলডিসি)।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:০৯

আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অশিক্ষক কর্মী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুললেন আকসার প্রাক্তন সভাপতি প্রদীপ দত্তরায়। তাঁর অভিযোগ, গত দু’মাসে কাজে যোগ দিয়েছেন ১১ জন নতুন করণিক (এলডিসি)। সব ক’টিই স্থায়ী পদ। ২০১৪ সালে ওই সব পদে আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। ইন্টারভিউ হয় তার ২৩ মাস পরে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারি নির্দেশে স্পষ্ট রেই বলা আছে, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও ইন্টারভিউয়ের মধ্যে ছ’মাসের বেশি ব্যবধান থাকতে পারবে না।

অন্য সব ক্ষেত্রে যাবতীয় তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটে লাগাতার প্রকাশ করলেও অশিক্ষক নিযুক্তির কোনও তালিকা এ পর্যন্ত ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়নি। কারা লিখিত পরীক্ষায় ডাক পেয়েছে, কারা কম্পিউটার দক্ষতার পরীক্ষায় ডাক পাচ্ছে, সে সব জানার কোনও সুযোগ নেই। এমনকী, কারা শেষ পর্যন্ত নিযুক্তি পেয়েছেন, তারও উল্লেখ নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে। প্রদীপবাবু জানান, দু’দফায় যে ১১ জন কাজে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের কাছেও প্রথমে কোনও নিয়োগ পত্র পাঠানো হয়নি। চাকরি পাওয়ার কথা টেলিফোনে জানানো হয়। একই সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়, পরের দিনই যেন সমস্ত নথিপত্র নিয়ে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছন। কাজে যোগ দেওয়ার পরই তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় নিয়োগ পত্র।

অল কাছাড়-করিমগঞ্জ-হাইলাকান্দি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (আকসা)-র প্রাক্তন সভাপতি তথা প্রতিষ্ঠাতা প্রদীপ দত্তরায়ের নেতৃত্বেই নিরন্তর আন্দোলনের ফসল শিলচরের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। আজ তিনি বলেন, ‘‘যে আশা নিয়ে এই অঞ্চলের মানুষ বিশ্ববিদ্যালয় চেয়ে লাগাতার আন্দোলন করেছিলেন, আজ তা ভঙ্গ হয়েছে।’’ তাঁর অভিযোগ, কম্পিউটার স্কিল টেস্টের নিয়ম হল, প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা শেষে তাঁর টাইপ করা অংশের প্রিন্ট বের করে তাতে পরীক্ষার্থীর স্বাক্ষর নেওয়া হয়। ১১ করণিকের পদ পূরণের ক্ষেত্রে এই নিয়মও মানা হয়নি। শুধু নিযুক্তিতে অনিয়মই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদানও হয় না বলে প্রদীপবাবুর অভিযোগ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তাঁদের কাজকর্ম নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে করণিক নিয়োগের ঘটনার সিবিআই তদন্তেরও দাবি জানান।

রেজিস্ট্রার সঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ১১ করণিক নিযুক্তির ব্যাপারে আইনি লড়াই চলছিল। তাই একবার প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি বাতিল করতে হয়। আর একবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও ইন্টারভিউয়ের

ব্যবস্থা করা যাচ্ছিল না। আইনি সমাধানের পরই তাঁরা দ্রুত ইন্টারভিউ নেন। কর্মীর অভাব দ্রুত দূর করার জন্যই চূড়ান্ত বাছাই প্রার্থীদের নিয়োগ পত্র না পাঠিয়ে টেলিফোনেই ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাঁর দাবি, স্বচ্ছতা বজায় রেখেই নিযুক্তি হয়েছে। কারও কোনও সন্দেহ থাকলে খাতা দেখতে চাইতে পারেন।

Non Teaching Staff University
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy