বিহারে ভোট-প্রচারের বোলেই যেন বাংলার জন্য লয় বাঁধছে বিজেপি!
মঙ্গলবার পড়শি রাজ্যে ভোট প্রচারে এসে প্রত্যাশিত ভাবেই লালু প্রসাদ যাদব-রাবড়ি দেবীর ‘জঙ্গল রাজের’ জমানাকে নিশানা করলেন নরেন্দ্র মোদী। সেই আমলের দুর্নীতি, খুন-জখম, নিরাপত্তার অভাব, সামাজিক অস্থিরতার কথা তো তুললেনই, সেই সঙ্গে মনে করালেন তখনকার রক্তাক্ত ভোটের স্মৃতি। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “যে বিহারে ভোট মানে এক সময়ে শুধু প্রাণহানি, রক্তারক্তির খবর আসত, সেখানে এই করোনা-কালেও ভোট হচ্ছে নির্বিঘ্নে।…ভুলে যাবেন না, তখন এমন শান্তিপূর্ণ ভোটের কথা ভাবাই যেত না। বুথ লুট করে, ভয় দেখিয়ে ভোটদানের অধিকার থেকেই বঞ্চিত করা হত অনেক সাধারণ মানুষকে।”
বিরোধী শিবিরের কটাক্ষ, প্রধানমন্ত্রী গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ নিয়ে ভোটের আগে অনেক কথা বলেন। অথচ গত কয়েক বছরে একাধিক রাজ্যে হারের পরেও বিরোধী বিধায়কদের কিনে সেখানে গদি দখল করেছে তাঁর দল! উদাহরণ হিসেবে কর্নাটক এবং মধ্যপ্রদেশের উদাহরণ তুলছেন তাঁরা। এই অভিযোগে বিদ্ধ করার পাশাপাশি মোদীর এ দিনের বক্তব্যের রেশ ধরে রাজনৈতিক মহলের জল্পনা, বিহার ভোটে প্রচারের শেষ লগ্ন থেকেই কি বাংলার বিধানসভা ভোটের প্রচারে ঝাঁপানোর প্রস্তুতি সেরে রাখছেন তিনি? কারণ, বাংলায় ‘জঙ্গলরাজ’ চলছে বলে সম্প্রতি বারবার অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যের বিজেপি নেতাদেরও অভিযোগ, গত পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে তাণ্ডব চালিয়ে গ্রামের বহু মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি তৃণমূল। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে তার মাসুল দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। ফলে প্রশ্ন, এর পরে প্রচারে এসে কি বিহারের ‘জঙ্গলরাজ’ প্রসঙ্গ বাংলাতেও তুলবেন মোদী-সহ বিজেপির জাতীয় স্তরের নেতারা?