Advertisement
E-Paper

হাসপাতালের তথ্য নেটে

নাগরিকদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও বাড়াতে হাসপাতালের নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরির সিদ্ধান্ত নিলেন করিমগঞ্জ হাসপাতালের চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ। তিনি জানিয়েছেন, প্রতি দিন ওয়েবসাইটের তথ্য ‘আপডেট’ করা হবে। একইসঙ্গে সেখানে বসানো হবে সিসিটিভি ক্যামেরাও।

উত্তমকুমার মুহরী

শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৫ ০২:৫৪

নাগরিকদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও বাড়াতে হাসপাতালের নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরির সিদ্ধান্ত নিলেন করিমগঞ্জ হাসপাতালের চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ। তিনি জানিয়েছেন, প্রতি দিন ওয়েবসাইটের তথ্য ‘আপডেট’ করা হবে। একইসঙ্গে সেখানে বসানো হবে সিসিটিভি ক্যামেরাও।

স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল ফেরাতে তরুণ গগৈ সরকার যুগান্তকারী পদক্ষেপ করেছেন বলে দাবি করে কংগ্রেস। কিন্তু প্রান্তিক জেলা করিমগঞ্জে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার দুরাবস্থা একেবারেই উল্টো ছবি তুলে ধরে। জেলার কয়েক লক্ষ মানুষ করিমগঞ্জের সদরের ওই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল। বাইরে থেকে দেখলে পরিছন্ন ওই হাসপাতাল যে অজানা ‘কর্কট ব্যাধিতে’ তা বোঝেন রোগী, পরিজনরা। ২০০ শয্যার হাসপাতালটি উদ্বোধনের পর থেকেই নানা সমস্যায় জর্জরিত। কখনও ওষুধ পাওয়া যায় না, কখনও এক্স-রে বিভাগে থাকে না প্রয়োজনীয় প্লেট। প্রথম থেকেই লিফট অচল। নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না শৌচালয়গুলিও।

প্রধান সমস্যা চিকিৎসক ও নার্সের অভাব। জরুরি প্রয়োজনে সরকারি হাসপাতালে রোগী নিয়ে গেলে সমস্যার পড়েন পরিজনরা। কখনও কখনও রোগীকে পরীক্ষা করার জন্য হাসপাতালে খোঁজ মেলে না এক জন চিকিৎসকেরও!

জেলাবাসীর এই অভিযোগ নতুন কিছু নয়। এ সব সমস্যা নিয়ে করিমগঞ্জ হাসপাতালে অনেক সময় উত্তেজনাও ছড়িয়েছে। যদিও অনেক সময় খবর পেয়ে বিধায়ক কমলাক্ষবাবু হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি সামলান। কিন্তু হাসপাতালটিকে নিয়ে নিজের মতো করে এত দিন কিছু করতে পারেননি তিনি। সেখানকার চেয়ারম্যান ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী সিদ্দেক আহমেদ। দু’মাস আগে করিমগঞ্জ হাসপাতালের চেয়ারম্যান হন কমলাক্ষবাবু। এ বার তিনি হাসপাতালের সমস্যার সমাধান, নিরাপত্তা বৃদ্ধি, আধুনিকীকরণ ও সৌন্দর্যায়নের চেষ্টা করছেন। সম্প্রতি একটি আলোচনা সভায় প্রশাসন, পুলিশ, স্বাস্থ্য দফতরের কর্তা ও স্থানীয় কয়েকটি ক্লাব ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেখানে কমলাক্ষবাবু বলেন, ‘‘সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে ২০০ শয্যার হাসপাতাল তৈরি করেছে। নতুন ১০০ শয্যার হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছে। এর পরও রোগী পরিষেবা না পেলে টাকা খরচ করে লাভ কী?’’ তিনি জানিয়ে দেন, হাসপাতালে হিসেব ঠিক রাখতে হবে। মাসে কত টাকা আয় হয় এবং কোন খাতে কত খরচ হয়— সব কিছু ইন্টারনেটে জানাতে হবে। কত জন চিকিৎসক ও নার্স রয়েছেন, তাঁদের কখন কে হাসপাতালে থাকবেন— ওয়েবসাইটে দিতে হবে সে সব তথ্যও। তা ছাড়া হাসপাতাল চত্বরে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। তাতে সেখানে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে দোষীদের সহজেই চিহ্নিত করা যায়। সেখানে ফুলের বাগান তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে বিধায়কের। সে জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির সাহায্য চান বিধায়ক। ইতিমধ্যে লিফটটি মেরামত করতে তিনি ৩ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

Karimganj hospital website kamalaksha dey purokayst uttam kumar muhur
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy