লোকসভা ভোটের আগে কাশ্মীর নিয়ে কোনও রকম বৈঠকের ইচ্ছে নেই দিল্লির। সে ইমরান খান যতই বলুন না কেন— ‘‘ভারত এক কদম এগোলে আমি দু’কদম এগোব।’’
কাশ্মীরকে তিনি যে আলোচনার টেবিলে আনতে চান, গত কালের জয়সূচক বক্তৃতাতেই তা জানিয়ে দিয়েছিলেন ইমরান। প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়কের সরকার গড়া এখন সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক সূত্র জানাচ্ছে, নতুন পাক সরকারের তরফে কাশ্মীর-বৈঠকের প্রস্তাব যে ভাবেই আসুক, আপাতত তাতে সাড়া দেওয়ার প্রশ্নই নেই।
ইমরানের জয়ের পরে এখনও উচ্চবাচ্য করেনি ভারত। সাধারণ অভিনন্দন-বার্তাও জানানো হয়নি। সরকারি ভাবে ইমরান প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরে ভারতের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বার্তা যাবে। কিন্তু কূটনৈতিক শিবিরের মতে, আপাতত ভারতের কৌশল হল, নতুন পাকিস্তান সরকারকে নিয়ে কোনও রকম আতিশয্যের পথে না-হাঁটা।
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে বলা হচ্ছে, এর প্রধান কারণ একটাই— আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচন। তার আগে পাক-নীতির প্রশ্নে অত্যন্ত সতর্কতা নিয়েই এগোতে চাইছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। ট্র্যাক-টু আলোচনা, দু’দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে বিষয়ভিত্তিক যোগাযোগ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের বৈঠক, এমনকি তৃতীয় কোনও রাষ্ট্রে শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ পর্যন্ত ঠিক আছে। কিন্তু তার বাইরে গিয়ে জাতীয় রাজনীতির এই স্পর্শকাতর সময়ে নিজেদের হাত পোড়াতে চায় না কেন্দ্র। প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ় শরিফের সঙ্গে বাড়তি উদ্যম দেখিয়ে কথা বলার পরেই পঠানকোটের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলা হয়েছিল। সেই স্মৃতি এখনও টাটকা। ভোটের আগে আবার এমন কোনও ঘটনা ঘটলে তার যথেষ্ট মাসুল দিতে হবে বলেই মনে করছেন সরকারের কর্তারা।
বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যন স্বামীর বক্তব্য, ‘‘ইমরান আকাশকুসুম স্বপ্ন দেখতেই পারেন। কাশ্মীর নিয়ে আলোচনার কোনও প্রয়োজনই নেই। সেখানকার এক-তৃতীয়াংশ জমি বেআইনি ভাবে তারা দখল করে রেখেছে। হয় তারা সেটা ফেরত দিক, না হলে ভবিষ্যৎ পরিণামের জন্য প্রস্তুত থাকুক।’’ তবে প্রত্যাশিত ভাবেই ইমরানের বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন হুরিয়ত চেয়ারম্যান সৈয়দ আলি শাহ গিলানি। পিটিআই নেতার কাশ্মীর-নীতির প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘‘পাকিস্তান নমনীয়তা দেখিয়েছে। এ বার ভারতের উচিত নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy