সকালে বন্দি। কয়েক ঘণ্টা পরে দুপুরে মু্ক্তি।
নিরাপত্তা সচিব পর্যায়ের বৈঠকের আগে বৃহস্পতিবার সকালে সৈয়দ আলি শাহ গিলানি এবং মিরওয়াইজ উমর ফারুক-সহ কাশ্মীরের বেশ কয়েক জন বিচ্ছিন্নতাবাদী হুরিয়ত নেতাকে গৃহবন্দি করার সিদ্ধান্ত নেয় নয়াদিল্লি। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা যেতে না যেতেই মুক্তি দেওয়া হল তাঁদের।
বুধবারই পাক-আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছিলেন কাশ্মীরের দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি এবং মিরওয়াইজ উমর ফারুক। তার এক দিন পরেই ওই দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাকেই গৃহবন্দি করার নির্দেশ দিল নয়াদিল্লি। শ্রীনগর পুলিশ আটক করেছে ইয়াসিন মালিককেও। পাক সরকারের আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন তিনিও। তবে গিলানি এবং মিরওয়াইজ ফারুক তৎক্ষণাৎ সেই আমন্ত্রণ সাদরে গ্রহণ করলেও ইয়াসিন তা করেননি। আদৌ আমন্ত্রণ গ্রহণ করা হবে কি না, তা তিনি দলের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানানোর সিদ্ধান্ত নেন।
হুরিয়তের এই নেতাদের গৃহবন্দি করে রাখার পদক্ষেপকে কূটনৈতিক চাল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ঠিক এক বছর আগে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের সঙ্গে পাকিস্তান বৈঠক করায় ভেস্তে গিয়েছিল দু’দেশের আলোচনা। তখনও ভারত-পাক বৈঠক হওয়ার আগে পাকিস্তান হুরিয়ত নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিল। যার জেরে ক্ষুব্ধ দিল্লি বৈঠকই বাতিল করে দিয়েছিল। আগামী ২৩ অগস্ট দুই দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা। যে বৈঠক করতে ভারত প্রথম থেকেই মরিয়া। কিন্তু উফার দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর থেকেই পাক-সেনা তথা সে দেশের একাধিক সংগঠন বৈঠকের বিরোধিতায় নামে। এক বছর আগের কথা মাথায় রেখেই হুরিয়ত নেতাদের আমন্ত্রণ করার মধ্যে পাক-সরকার আদপে বৈঠক বাতিল করার ছক কষেছিল বলেই মনে করছে কূটনীতিক মহলের একাংশ। তাঁদের মতে, পাক-সরকারের আমন্ত্রণ গ্রহণ করে তাতে যোগ দিলে অতীতের পুনরাবৃত্তি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু পাক-সরকারের এই উদ্দেশ্য কোনও ভাবেই কার্যকর হতে দিতে নারাজ দিল্লি। তাই হুরিয়ত নেতাদের গৃহবন্দি করা এবং পরে তাঁদের মুক্তি দেওয়ায় পাকিস্তানকেই বার্তা দেওয়া হল বলে মনা করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy