প্রতীকী ছবি।
ত্রিপুরায় সিপিএমের দুর্গ পতন কাঁপিয়ে দিয়েছে কেরল সিপিএমকেও।
দু’বছর আগে বিধানসভা ভোটে একটি আসনে জিতে এই প্রথম কেরলে খাতা খুলেছে বিজেপি। সামনেই আলাপ্পুঝা জেলার চেঙ্গান্নুর বিধানসভার উপনির্বাচন। কেরলের নেতাদের ভয়, ত্রিপুরায় বিজেপির জয়ের হাওয়ায় এই আসনটিও না বিজেপি দখল করে নেয়। কারণ ২০১৬-র বিধানসভায় সিপিএম ওই আসনে জিতলেও সে বারই বিজেপি প্রার্থী, দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি পি এস শ্রীধরন পিল্লাই বিপুল ভোট পেয়েছিলেন। জিতলেও বামেদের ভোট কমেছিল। সিপিএমের বিধায়ক কে কে রামাচন্দ্রন নায়ারের মৃত্যুতে উপনির্বাচনে ফের সেই পিল্লাইকেই প্রার্থী করেছে বিজেপি। বিজেপি চাইছে, চেঙ্গান্নুর আসন জিতে লোকসভা ভোটের আগে কেরলে সিপিএমকে ধাক্কা দিতে। উল্টো দিকে সংখ্যালঘু খ্রিস্টান ভোট টানতে আল্লাপ্পুঝা জেলা সম্পাদক সাজি চেরিয়ানকে প্রার্থী করেছে সিপিএম।
এমনিতেই ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপে মস্করা চলছে, ‘কেরল সিপিএমের নতুন ব্যানার— আমাদের কোনও শাখা নেই।’ দলের মধ্যেও রাজনৈতিক লাইন নিয়ে বিবাদ তুঙ্গে। পিনারাই বিজয়নের নেতৃত্বে কেরলের নেতারা প্রকাশ কারাটের ‘একলা চলো’ রাজনৈতিক লাইনের সমর্থক। ফলে কেরলে বিজেপি আসন বাড়ালে কারাটও অস্বস্তিতে পড়বেন। একমাত্র বাম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পিনারাই বিজয়নের সামনে চ্যালেঞ্জ হল, সিপিএম একাই বিজেপির মোকাবিলা করতে পারে তা প্রমাণ করা।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরাছাড়া করার হুমকি হিমন্তের, সেই মানিকেরই আশীর্বাদ নিলেন বিপ্লব
আজ তিরুঅনন্তপুরমে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশও ত্রিপুরার ফল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, বামেরা কংগ্রেসের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও ভারতে বামেদের শক্তিশালী হওয়া জরুরি। বামেরা শেষ হয়ে গেলে তা দেশের জন্য বিপদ ডেকে আনবে। সিপিআই সাধারণ সম্পাদক সুধাকর রেড্ডিও বলছেন, কংগ্রেস-সহ অ-বিজেপি দলগুলির জোট দরকার।
সুযোগ বুঝে কারাট, বিজয়নদের রক্তচাপ বাড়াতে মাঠে নেমেছেন প্রবীণ ভি এস অচ্যুতানন্দন।
ত্রিপুরার ভোটের পর চেঙ্গান্নুর উপনির্বাচন নিয়ে এমনিতেই চিন্তায় থাকা কারাট-পিনারাই শিবিরকে ভি এস-এর হুঁশিয়ারি, ত্রিপুরার ভোটের ফল যথেষ্ট উদ্বেগের। কংগ্রেস খুবই দুর্বল। বাংলা ও ত্রিপুরায় যে বাম সরকার চালাত, তারাও দুর্বল। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির মোকাবিলার শক্তি বামেদের একার নেই বলে অচ্যুতানন্দনের দাবি। সীতারাম ইয়েচুরি ও আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের নেতাদের সুরেই তাঁর যুক্তি, বিজেপি-সঙ্ঘ পরিবারের মোকাবিলায় সব ধর্মনিরপেক্ষ দলের একসঙ্গে জোট বাঁধা দরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy