প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ। ছবি: পিটিআই।
আবারও মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ। বুধবার সকালে সে রাজ্যের সুবাথুতে আচমকা ভারী বৃষ্টিতে ধস নামে এলাকায়। মুহূর্তের মধ্যে জলমগ্ন হয়ে পড়ে গোটা এলাকা। বেশ কিছু গাড়ি জলে ভেসে যায়। সকালের ওই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়েছেন কি না, তা এখনও পর্যন্ত জানা না গেলেও বাড়ি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ধসের কারণে ইতিমধ্যেই হিমাচলের পান্ডো বাঁধ রোডের কাছে ২১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরূদ্ধ হয়ে গিয়েছে। এর ফলে মান্ডি থেকে কুলু পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, রাজ্যের বহু রাস্তা এখনও ধসের কারণে বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যেই আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, হিমাচলে আগামী কয়েক দিন ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি চলবে। রাজ্যের আটটি জেলাকে এই বিষয়ে আদালা করে সতর্ক করা হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের দেহরাদূন, তেহরি, নৈনিতাল-সহ মোট সাতটি জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস পাওয়ার পরেই বুধ এবং বৃহস্পতিবার রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হিমাচলের রাজ্য প্রশাসন। বৃষ্টি এবং ধসের কারণে হিমাচলের বিলাসপুর, হামিরপুর, কুলু, মান্ডি, শিমলা, সোলানের মতো জেলাগুলির পরিস্থিতি সব তেয়ে খারাপ। এখনও সেখানকার অধিকাংশ রাস্তা ধস নেমে এবং গাছ পড়ে অবরূদ্ধ হয়ে রয়েছে। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে বালদ নদী। বাদ্দিতে সেতু ভেঙে পড়ায় ওই শিল্পনগরীর সঙ্গে হরিয়ানা এবং চণ্ডীগড়ের সড়ক যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই প্রকৃতির রোষে হিমাচলে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘এ যেন পর্বতসমান চ্যালেঞ্জ। রাস্তা মেরামত করা, জল প্রকল্পগুলি আবার নতুন করে শুরু করা— প্রায় ১০,০০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সব ঠিকঠাক করতে এক বছর সময় তো লাগবেই।’’ শিমলার আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা সুরেন্দ্র পল সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, এ বছর জুলাইয়ে হিমাচলে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, তা গত ৫০ বছরের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy