গত তিন দিন থেকে বিদ্যুত্হীন করিমগঞ্জ শহর। বৃহস্পতিবার সকালে মেঘের গর্জনের সঙ্গে সঙ্গে সেই যে বিদ্যুত্ বিভ্রাট শুরু হয়, আজ বিকেল পর্যন্তও তা স্বাভাবিক হয়নি। বিদ্যুতের এই লুকোচুরি খেলায় অতিষ্ট করিমগঞ্জবাসী।
পরিস্থিতি যাচাই করতে আজ শহরের বেশ কয়েকটি সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা বিদ্যুত্ বিতরণ কোম্পানির জেলা কার্যালয়ে গিয়ে হাজির হন। তাঁরা জানতে চান, বৃষ্টি কিংবা ঝড় না হওয়া সত্ত্বেও করিমগঞ্জ নিস্প্রদীপ কেন? ফোনে তাঁদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কোম্পানির ভারপ্রাপ্ত অফিসার জানান, মাসের দ্বিতীয় শনিবার কার্যালয় বন্ধ থাকে। তাই এখনই তাঁরা এ বিষয়ে কিছু জানাতে পারবেন না। আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, তিনি কার্যালয়ে এসে তাঁদের সঙ্গে কথা বলুন।কিন্তু তিনি জানিয়ে দেন
ছুটির দিনে তা সম্ভব নয়। করিমগঞ্জের শিববাড়ি রোডের বিদ্যুত্ বিতরণ কোম্পানির কার্যালয়-চত্বরে মুহূর্তের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, দুর্বিষহ গরমে জনগণের নাভিশ্বাস উঠছে। ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যুতের অভাবে ঠিক মতো পড়াশুনা করতে পারছে না। এমনকী খাবার জলেরও সঙ্কট দেখা দিচ্ছে।
এরপর আন্দোলনকারীরা বিদ্যুত্ কার্যালয় থেকে সোজা চলে যান ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কে। তাঁরা জাতীয় সড়কের উপর বসে পড়েন, অবরোধ করেন জাতীয় সড়ক। করিমগঞ্জ শহরের ‘লাইফ লাইন’ হিসেবে খ্যাত জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হওয়ায় শহর জুড়ে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। জাতীয় সড়কে অবরোধের খবর শুনে পুলিশ, আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ানরা সেখানে এসে উপস্থিত হন। কিন্তু অবরোধ প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে তাদের তেমন উদ্যোগী হতে দেখা যায়নি।
আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, পুলিশ কিংবা আধা-সামরিক বাহিনীর জওয়ান ও তাঁদের পরিবারও তো এই বিদ্যুত্ বিভ্রাটের শিকার। প্রায় দুঘণ্টা জাতীয় সড়ক অবরোধের পর জেলা প্রশাসনের কর্তাদের হস্তক্ষেপে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়। বিদ্যুত্ কোম্পানির বিভাগীয় অফিসার শঙ্করলাল সাহাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।