ব্রডগেজে যাত্রিবাহী ট্রেনকে স্বাগত জানাতে উৎসবে মেতেছিল হাইলাকান্দি।
কয়েক মাসেই সেই ছবিটা বদলে গিয়েছে। ট্রেনে চড়তে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন জেলার যাত্রীরা। মূল কারণ, রেল স্টেশনের বেহাল পরিকাঠামো। অভিযোগ, ‘বি’ পর্যায়ের ওই স্টেশনে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের ন্যূনতম ব্যবস্থা নেই। নেই শৌচাগার, বৈদ্যুতিক আলো, পানীয় জল। টিকিটঘরের অবস্থাও তথৈবচ। রেলের মাত্র এক জন কর্মী সেখানে হাতে লিখে টিকিট দিচ্ছেন। এখন প্রতি দিন ভোরে মিজোরামের ভৈরবী থেকে ছেড়ে হাইলাকান্দি হয়ে শিলচর যাচ্ছে একটি যাত্রিবাহী ট্রেন। ওই সময় কয়েকশো যাত্রী স্টেশনে জড়ো হচ্ছেন। কিন্তু টিকিট কাটার আধুনিক ব্যবস্থা না থাকায় অনেকে ওই ট্রেনে ওটার আগে টিকিট কাটতে পারছেন না। পরে টিকিট পরীক্ষকের কাছে তাঁদের জরিমানা দিতে হচ্ছে। সঙ্গে অপমানিতও হচ্ছেন।
যাত্রীদের বক্তব্য, ট্রেন ছাড়ার আগে অনেকে স্টেশনে টিকিটঘরের সামনে লাইন দেন। কিন্তু হাতে লিখে টিকিট দেওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সকলে টিকিট পান না। ফলে বিনা টিকিটেই তাঁদের ট্রেন উঠতে হয়।
হাইলাকান্দির সংস্কৃতিকর্মী মহাশ্বেতা দেব তাঁর মাকে নিয়ে শিলচর যাওয়ার ট্রেন ধরতে এসেছিলেন হাইলাকান্দি স্টেশনে। নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘টিকিট কাটার জন্য অনেকক্ষণ চেষ্টা করেছিলাম। এক জন মাত্র রেলকর্মী হাতে লিখে টিকিট দিচ্ছিলেন। ট্রেন ছাড়ার সময় হয়ে এলেও টিকিট পাইনি।’’
যাত্রীদের অভিযোগ, সন্ধের পর হাইলাকান্দি স্টেশনে পর্যাপ্ত আলো তাকে না। স্থানীয় ব্যবসায়ী সন্তোষ মজুমদার বলেন, ‘‘রেল কর্তৃপক্ষ হাইলাকান্দি স্টেশন নিয়ে উদাসীন। আলো, পানীয় জল, শৌচাগার স্টেশনে নেই।’’
হাইলাকান্দি স্টেশনের পরিকাঠামো নিয়ে ক্ষুব্ধ বিধায়ক আনোয়ার হুসেন লস্করও। সম্প্রতি রেল স্টেশন পরিদর্শনের পর তিনি জানান, এ সব সমস্যার কথা তিনি উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। রেল প্রতিমন্ত্রী রাজেন গোহাইয়ের সঙ্গেও কথা বলবেন।
রেলযাত্রী অধিকার সুরক্ষা সমিতির সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর দত্ত জানান, স্টেশনের পরিকাঠামো ঠিক করা না হলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। হাইলাকান্দি স্টেশনের এক কর্মী জানিয়েছেন, তাঁরাও এ সব সমস্যার বিষয়ে একাধিক বার রেল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy