প্রতীকী ছবি।
এ বারের লোকসভা ভোটে অন্তত ১০৭০ প্রার্থী লড়ছেন, যাঁদের বিরুদ্ধে খুন, ধর্ষণ, খুনের চেষ্টা, অপহরণ, মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের মামলা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এমন প্রার্থীর সংখ্যা ২৬%।
লোকসভা ভোটে মোট ৮০৪৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ৭৯২৮ জনের হলফনামা খতিয়ে দেখে অসরকারি সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (এডিআর) এক রিপোর্টে জানাচ্ছে, ১৫০০ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের মামলা রয়েছে। রাজনৈতিক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে গেলেও মামলা হয়। কিন্তু এডিআর-এর সদস্য জগদীপ চোকারের যুক্তি, গুরুতর অপরাধের সঙ্গে তার পার্থক্য রয়েছে। সেগুলিকেই গুরুতর অপরাধ হিসেবে ধরা হচ্ছে যেখানে ৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে বা যে সব অপরাধে জামিনও মেলে না। যেমন সরকারি কোষাগারের ক্ষতি, ঘুষ, মারধর, খুন, ধর্ষণ, অপহরণ ইত্যাদি।
এ বারের ভোটে নির্বাচন কমিশনের কাছে একের পর এক বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের জন্য অভিযোগ জমা পড়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে ৯৫ জন জানিয়েছেন, বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করার অভিযোগে মামলা রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। ৪৭ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ, ১২৬ জনের বিরুদ্ধে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ, ১৮৪ জনের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা ও ৫৫ জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রয়েছে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
২০০৯-এর লোকসভা ভোটে ৯% প্রার্থী জানান, তাঁদের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের মামলা রয়েছে। ২০১৪-এ ১১% প্রার্থীর বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের মামলা ছিল। ২০১৯-এ ১৩% প্রার্থী জানিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের মামলা রয়েছে। জগদীপ বলেন, ‘‘রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন বাড়ছে। এটা চিন্তার কারণ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy