প্রয়াত রাজীব গাঁধীকে নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর কুকথাও ছাড় পেয়ে গেল নির্বাচন কমিশনে।
ভোট প্রচারে নেমে রাজীবকে ‘ভ্রষ্টাচারী নম্বর ওয়ান’ বলেছিলেন মোদী। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে বর্তমানের এমন মন্তব্য নিয়ে বিভিন্ন স্তরে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিল কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে এমন কদর্য মন্তব্য দেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোভা পায় না। পাশাপাশি, একের পর এক অভিযোগ নিয়ে মোদী-শাহের বিরদ্ধে কেন কোনও পদক্ষেপ করছে না কমিশন, সুপ্রিম কোর্টে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল কংগ্রেস। রাজীব সম্পর্কে মোদীর মন্তব্যকেও শীর্ষ আদালতের নজরে আনা হয়। আগামিকাল শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানির কথা। তার মধ্যেই আজ কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, রাজীবকে নিয়ে ওই মন্তব্য করে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেননি মোদী। কমিশন সূত্রের খবর, এ নিয়ে নয়টি অভিযোগে ছাড় মিলল মোদীর।
শুধু রাজীবকে ভ্রষ্টাচারী বলার প্রসঙ্গেই নয়, সেনার নামে ভোট চাওয়াতেও মোদীকে ছাড় দিয়েছে কমিশন। মার্চেই অবশ্য সব দলের উদ্দেশে কমিশন নির্দেশ দিয়েছিল, সেনার নামে ভোট চাওয়া চলবে না। কিন্তু এর পরেও ভোট প্রচারের বিভিন্ন সভায় পুলওয়ামার ঘটনা থেকে শুরু করে বালাকোট অভিযানের কথা তুলতে থাকেন মোদী। ৯ এপ্রিল কর্নাটকের চিত্রদুর্গে নতুন ভোটারদের উদ্দেশে মোদী বলেন, তাঁরা যেন তাঁদের ভোট বালাকোট অভিযানের নায়কদের উৎসর্গ করেন। সে দিনই মহারাষ্ট্রের দু’টি সভাতেও একই কথা বলেন তিনি। এর মাধ্যমে মোদী আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন, এই অভিযোগ এনে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল কংগ্রেস। তবে কমিশন মনে করেছে, এ কথা বলে আচরণবিধি ভাঙেননি প্রধানমন্ত্রী। তবে পিটিআইয়ের খবর, তিন জন নির্বাচন কমিশনারের মধ্যে এক জন এ ব্যাপারে তাঁর আপত্তির কথা জানিয়েছেন।
এই দু’টি বিষয় ছাড়াও কমিশন মনে করছে, ২৩ এপ্রিল আমদাবাদে ভোট দেওয়ার পরে মোদী রোড শো করেছেন বলে যে অভিযোগ এনেছেন বিরোধীরা, তারও কোনও ভিত্তি নেই। সে দিন ভোট কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে কিছুটা পথ হেঁটে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেসের অভিযোগ, ভোটের দিনে আমদাবাদে কৌশলে রোড শো করেছেন মোদী। এ নিয়ে কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিল তারা। তবে গুজরাতের প্রতিনিধিদের থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পরে দিল্লিতে কমিশন এ ব্যাপারে আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগ খারিজ করে।
মোদী-শাহের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ছে কমিশনে, অথচ তারা কোনও পদক্ষেপ করছে না, এই অভিযোগ এনে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কংগ্রেস। শীর্ষ আদালত কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে, এ ব্যাপারে তারা কী পদক্ষেপ করেছে, তা এক সপ্তাহের মধ্যে জানাতে। আগামিকাল সেই মামলার শুনানি। তার আগেই একের পর এক অভিযোগে মোদীকে রেহাই দিল কমিশন।
এ দিন যোগী আদিত্যনাথকে নিয়ে একটি মন্তব্যে কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদকেও রেহাই দিয়েছে কমিশন। বিতর্কে বসার জন্য যোগীকে চ্যালেঞ্জ করে সলমন বলেছিলেন, ‘‘এই বিতর্ক গোশালাতে হলেই ভাল হয়। বোঝা যাবে, গরুরা কার দিকে!’’ কমিশন মনে করছে, এ কথা বলে ভোটের আচরণবিধি ভাঙেননি খুরশিদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy