—ফাইল চিত্র।
‘মুদ্রা যোজনা’য় কত কর্মসংস্থান হয়েছে তা লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রকাশ না-করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এর আগেও কর্মসংস্থান সংক্রান্ত দু’টি রিপোর্ট নরেন্দ্র মোদী সরকার প্রকাশ করেনি। ‘মুদ্রা যোজনা’ হল তৃতীয় রিপোর্ট যা কেন্দ্র লোকসভা নির্বাচনের আগে জনসমক্ষে আনছে না।
প্রধানমন্ত্রী মোদী রীতিমতো ঢাকঢোল পিটিয়ে ‘মুদ্রা যোজনা’ চালু করেছিলেন। এই যোজনার আওতায় ছোট ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ৫০ হাজার টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারেন। মুদ্রা যোজনায় কর্মসংস্থানের তথ্য প্রকাশ না করার পিছনে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের পদ্ধতিগত অনিয়মের কথা উঠে আসছে। মন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বিশেষজ্ঞ কমিটি পদ্ধতিগত অনিয়ম পেয়েছে। সেই কারণে মুদ্রা যোজনায় কর্মসংস্থানের পরিসংখ্যান লোকসভা নির্বাচনের পরে প্রকাশ করা হবে।’’ যদিও কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের যুক্তি, লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় ‘মুদ্রা যোজনা’র তথ্য প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
এর আগে ২০১৭-’১৮ অর্থবর্ষের ‘ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে অফিস’-এর (এনএসএসও) সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ করেনি কেন্দ্র। যদিও সেই রিপোর্ট ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। তাতে উল্লেখ ছিল, ওই অর্থবর্ষে দেশে বেকারত্বের হার ৬.১ শতাংশ, যা গত ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ। এছাড়াও লেবার বুরোর ষষ্ঠ বার্ষিক কর্মসংস্থান সমীক্ষা রিপোর্টও প্রকাশ করেনি কেন্দ্র।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার দাবি করেছেন, ‘মুদ্রা যোজনা’য় বিপুল কর্মসংস্থান হয়েছে। তিনি বহুবার বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, পকোড়া বিক্রি করে ২০০ টাকা রোজগারও উপার্জন। মুরগি থেকে মাজন বেচে মানুষ স্বাবলম্বী হচ্ছেন। যদিও বিরোধীদের যুক্তি, ‘মুদ্রা যোজনা’য় যে পরিমাণ টাকা ঋণ দেওয়া হয়, তাতে নতুন ব্যবসা চালু করা যায় না। কর্মসংস্থান তো দূর অস্ত! ‘মুদ্রা যোজনা’র তথ্য প্রকাশ না করায় কেন্দ্রকে নিশানা করেছে কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা আজ বলেন, ‘‘মোদী সরকারের নীতির জন্যই মানুষ চাকরি হারাচ্ছেন। এনএসএসও হোক বা লেবার বুরোর সমীক্ষা— যে তথ্য সামনে আসছিল তা ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। একই কারণে মুদ্রা যোজনায় কর্মসংস্থানের তথ্যও লোকসভা নির্বাচনের আগে গোপন করতে চাইছে সরকার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy