দেশ জুড়েই বিজেপি বিরোধী জোট গঠনের চেষ্টা চলছে। দিল্লিতে বিরোধী জোটের সভায় হাজির ছিলেন বাম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, ডি রাজা। কিন্তু কেরলে বাম-কংগ্রেস যুযুধান লড়াই। সেই কেরলেরই ওয়েনাড কেন্দ্রে আবার প্রার্থী হয়েছেন রাহুল গাঁধী। সারা দেশে বিজেপি বিরোধী জোটের কথা মাথায় রেখেই বামেদের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হলেন না রাহুল গাঁধী। বৃহস্পতিবারই ওয়েনাডে নিজের মনোনয়ন পত্র জমা দেন রাহুল গাঁধী। তার পর প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর সঙ্গে মিলে রোড শো শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই হলেও ‘একটি শব্দও বলব না’। রাহুল আবার অমেঠীতেও প্রার্থী হয়েছেন। সেখানকার বিজেপি প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি তাঁর মনোনয়নের আগেই কটাক্ষ ছুড়ে দিয়ে বলেছেন, ‘‘ওয়েনাডোর ভোটাররা এসে দেখে যান, অমেঠীতে গত পাঁচ বছরে কিছুই করেননি রাহুল।’’
উত্তরপ্রদেশের অমেঠীতে এবারও প্রার্থী হচ্ছেন রাহুল গাঁধী। সেই সঙ্গে রবিবার কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়, দ্বিতীয় কেন্দ্র হিসেবে দক্ষিণের রাজ্য কেরলের ওয়েনাড কেন্দ্র থেকেও ভোটে লড়বেন কংগ্রেস সভাপতি। তার পর থেকেই কেরল, তামিলনাড়ু-সহ দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে কংগ্রেস কর্মীরা উজ্জীবিত। আর আজ বৃহস্পতিবার তাঁর মনোনয়ন ঘিরে আরও চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন কংগ্রেস কর্মীরা।
কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতেই কোঝিকোড় পৌঁছে যান রাহুল। বিমানবন্দরে আগে থেকেই হাজির ছিলেন প্রচুর কংগ্রেস কর্মী-সমর্থক। রাহুলের কিছুক্ষণ পরই সেখানে পৌঁছন প্রিয়ঙ্কা গাঁধীও। দু’জনকেই স্বাগত জানান কেরলের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উম্মেন চান্ডি। রাতে কোঝিকোড়েরই একটি গেস্ট হাউসে ছিলেন রাহুল-প্রিয়ঙ্কা। এর পর সকালে কোঝিকোড় থেকে হেলিকপ্টারে ওয়ানাডের কালপেটায় নামেন। সেখান থেকে গাড়িতে নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন কংগ্রেস সভাপতি। কংগ্রেস সূত্রে খবর, মনোনয়নের নথিপত্র তৈরি থেকে শুরু করে গোটা এই সফরে রাহুলের সঙ্গে সর্বক্ষণ ছিলেন প্রিয়ঙ্কা।