—ফাইল চিত্র।
প্রণব মুখোপাধ্যায়কেই আরও এক বার রাষ্ট্রপতি পদে দেখতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাষ্ট্রপতির ভোট নিয়ে তৎপরতার মধ্যে মমতা চাইছেন, বিজেপি প্রার্থী দিলেও প্রণববাবু সমস্ত বিরোধী দলের সর্বসম্মত প্রার্থী হোন। সে ক্ষেত্রে এনডিএ ভেঙেও অনেক শরিক প্রণববাবুকেই ভোট দেবেন বলে মনে করছেন তৃণমূল নেত্রী। রাইসিনা হিলে পৌঁছতে অনেক নেতাই চেষ্টা করছেন। শরদ পওয়ার সনিয়া গাঁধীর কাছে গিয়ে রাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থী হতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু সনিয়া শরদকে প্রার্থী করতে চান না। রাহুল-সহ বিরোধী দলের অনেকে মনে করেন, পওয়ারের ভাবমূর্তি পরিচ্ছন্ন নয়।
প্রণববাবু অবশ্য একটি শিবিরের প্রার্থী হতে ইচ্ছুক নন। গত কাল মমতার দলের সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রণববাবুর মত হল, পাঁচ বছর রাষ্ট্রপতি থাকার পরে বিজেপি বনাম বিরোধী জোটের লড়াইয়ে না থাকাই বাঞ্ছনীয়। দিল্লিতে প্রণববাবুর সঙ্গে বৈঠক করবেন মমতা। তিনি মনে করছেন, প্রণববাবুর নাম এলে পাল্টা প্রার্থী দিতেও চাপের মধ্যে পড়ে যাবে বিজেপি। নীতীশ কুমার, লালুপ্রসাদ থেকে শুরু করে এনডিএ শরিক শিবসেনার শীর্ষ নেতারা পর্যন্ত জানিয়েছেন, প্রণববাবুকে তাঁরা সমর্থন করবেন। নবীন পট্টনায়কও ইউপিএ-র দিকে ঝুঁকে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ‘টনক নড়াতে টনিক দিতে হয়, পুলিশ গা বাঁচিয়ে চলবে, এটা হতে পারে না’
মমতা মঙ্গলবার সনিয়ার সঙ্গে বৈঠক করবেন। আজই গঙ্গারাম হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী। রাষ্ট্রপতির ভোটের রণনীতি ঠিক করতে কেজরীবালও এ বার মমতার সঙ্গে দেখা করবেন। তৃণমূল নেত্রী চাইছেন, মোদী-বিরোধী লড়াই তীব্র করতে আপের পক্ষ থেকে কংগ্রেস বিরোধিতা লঘু করা উচিত।
রাষ্ট্রপতির ভোটকে সামনে রেখে বিরোধীদের একজোট করার কাজ এগোচ্ছে। লালুপ্রসাদ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পরেই জনসভা করছেন পটনায়। যেখানে মমতা শুধু নন, থাকবেন রাহুল, নীতীশ কুমারও। নীতীশ বিজেপির দিকে এগোচ্ছেন বলেই এত দিন মনে করছিল বিরোধীরা। নীতীশ এখন বুঝছেন, বিজেপির খাতায় নাম না লিখিয়ে দর কষাকষির জায়গা রাখা ভাল। আর সীতারাম ইয়েচুরি সনিয়াকে বলেছেন, বিরোধীদের উচিত লোকসভা ভোটে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা না করে মোদী-বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ করা। নীতীশ যাতে বিজেপির দিকে পা না বাড়ান, সে জন্য তাঁকে ইউপিএ-র আহ্বায়ক করার কথা ভাবা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy