Advertisement
০৫ মে ২০২৪

টাকার অভাবে মার ত্রিপুরায়, মত মমতার

ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোট ১৮ ফেব্রুয়ারি। ওই ভোটে ত্রিপুরায় হারানো জমি পুনরুদ্ধারে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা করে এগোতে চেয়েছিলেন তৃণমূল  নেত্রী।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্রষ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্রষ

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা ও আগরতলা শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৪:৫৯
Share: Save:

টাকা নেই। তাই ত্রিপুরার সব আসনে তাঁরা প্রার্থী দিতে পারলেন না বলে মন্তব্য করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোট ১৮ ফেব্রুয়ারি। ওই ভোটে ত্রিপুরায় হারানো জমি পুনরুদ্ধারে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা করে এগোতে চেয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। রাজ্যের ৬০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৩০টি কংগ্রেসকে ছেড়ে বাকি আসন আইএনপিটি-র সঙ্গে ভাগাভাগি করে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সূত্র ছিল তৃণমূলের তরফে। কিন্তু কংগ্রেস সমঝোতার পথে না গিয়ে একাই লড়ছে। আর আক্ষেপ ব্যক্ত করে মমতা বুধবার দলের বর্ধিত কোর কমিটির সভায় বলেছেন, ‘‘টাকা নেই বলে ত্রিপুরায় আমরা মার খাচ্ছি! টাকা থাকলে ত্রিপুরার প্রত্যেকটা আসনে প্রার্থী দিতে পারতাম।’’

সেই সঙ্গেই দলীয় কর্মীদের মমতা বুঝিয়ে দিয়েছেন, বিজেপি, কংগ্রেস এমনকী সিপিএমের হাতে প্রচুর টাকা রয়েছে! তাঁর কথায়, ‘‘ওদের কোটি কোটি টাকা। সিপিএম এত দিন ধরে যে টাকা কামিয়েছে, তার সুদ-আসলেও অনেক টাকা এখন পাচ্ছে!’’ দলের তহবিল বাড়াতে তৃণমূলের সদস্যদের নিয়মিত ভাতার টাকা জমা দিতেও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

ত্রিপুরায় তৃণমূলের এখন তেমন কোনও সংগঠন নেই। কংগ্রেস থেকে যে বিধায়কেরা তৃণমূলে এসেছিলেন, তাঁরা চলে গিয়েছেন বিজেপি-তে। সে রাজ্যে মনোনয়ন জমা দেওয়া শেষ হয়েছে এ দিনই। দলের তরফে ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সব্যসাচী দত্ত জানিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত তাঁরা ৩০টি আসনে প্রার্থী দিয়েছেন। জোটসঙ্গী হিসাবে আইএনপিটি এবং এনসিটি লড়ছে ১৭টি আসনে। ত্রিপুরা থেকে সব্যসাচী এ বার যাচ্ছেন মেঘালয়ে প্রার্থী ঠিক করতে।

বিগত কয়েক বছরে ত্রিপুরায় তৈরি হওয়া সংগঠন ভেঙে যাওয়ার নেপথ্যে তাঁর দলেরই প্রাক্তন সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়ের ‘ভূমিকা’ রয়েছে বলে এ দিন বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা। মুকুলের নামোল্লেখ না করেও তৃমূল নেত্রীর মন্তব্য, ‘‘আমাদের দলে এক জন গদ্দার ছিল! সে ত্রিপুরার দলটাকে ভেঙে দিয়ে বিজেপি-র সঙ্গে মিলিয়ে দিয়ে গিয়েছে!’’ দিল্লিতে মুকুল অবশ্য বলেছেন, ‘‘তৃণমূল নেত্রীর কথামতো দল আমি ভেঙেছি। এখন আমি নেই। উনি নতুন করে দল তৈরি করছেন।’’

ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সমীররঞ্জন বর্মণ এ দিন বিশালগড় কেন্দ্রেরই নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমি কোনও দলের সঙ্গে যোগাযোগ করিনি। আমার অনুগামীদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি।’’ আর খোয়াই কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী বিশ্বজিৎ দত্ত অসুস্থ হয়ে পড়ায় নতুন প্রার্থী নির্মল বিশ্বাস মনোনয়ন পেশ করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE