Advertisement
২৭ মার্চ ২০২৩
POCSO

মায়ের লিভ ইন সঙ্গীর জন্য অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকা! ‘বাবা’কে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত

মেয়ের অভিযোগে সাক্ষ্য দেন মা। এক দিন কাজ থেকে বাড়ি ফিরে নিজের চোখে তিনি দেখেন যে, তাঁর নাবালিকা মেয়ের সঙ্গে আপত্তিকর ব্যবহার করছেন লিভ ইন সঙ্গী। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে অশান্তি হয়।

মায়ের লিভ ইন সঙ্গীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ! কারাদণ্ড দিল আদালত।

মায়ের লিভ ইন সঙ্গীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ! কারাদণ্ড দিল আদালত। প্রতীকী চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১২:৪৭
Share: Save:

মায়ের লিভ ইন সঙ্গীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন কিশোরী। অভিযোগ, তিনি নাবালিকা থাকার সময় দিনের পর দিন যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছেন মায়ের সঙ্গীর কাছে। শুক্রবার ৩৯ বছরের ওই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করলেন বিচারক। পকসো মামলায় তাঁকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিল মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত।

Advertisement

তরুণীর অভিযোগ, ২০১৬ সালে তাঁর বয়স তখন ১৬ বছর। মায়ের সঙ্গে তিনি শিবাজিনগর এলাকায় থাকতেন। সেখানে তাঁদের সঙ্গে ‘সৎ বাবা’ও থাকতে শুরু করেন। নির্যাতিতার দাবি, তিনি পঞ্চম-ষষ্ঠ শ্রেণিতে যখন পড়তেন মায়ের লিভ ইন সঙ্গী মাঝেমধ্যে তাঁকে শারীরিক নির্যাতন করতেন। এই কথা কাউকে বললে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হত। এ ভাবে দিনের পর দিন তাঁর উপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন চলত বলে দাবি করেন অভিযোগকারিণী।

মেয়ের অভিযোগে সাক্ষ্য দেন মা। তিনি অভিযোগে জানান, দীর্ঘ রোগভোগের পর তাঁর স্বামী মারা যান। এর পর অভিযুক্তের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় তাঁর। লিভ ইন করতে শুরু করেন তাঁরা। মেয়েকে নিয়ে তখন কোনও আপত্তি করেননি অভিযুক্ত। কিছু দিন পর কাজ ছেড়ে বাড়িতেই থাকতে শুরু করেন লিভ ইন সঙ্গী। ক্রমশ মদের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েন। অন্যান্য মাদক নেওয়াও শুরু করেন। মহিলার অভিযোগ, এক দিন কাজ থেকে বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন যে, তাঁর নাবালিকা মেয়ের সঙ্গে আপত্তিকর ব্যবহার করছেন লিভ ইন সঙ্গী। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে অশান্তি হয়। দাবি, সঙ্গীকে সাবধানও করেন তিনি।

কিন্তু ২০১৬ সালের জুলাই মাসে ১৬ বছরের নাবালিকা মেয়ে সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়়লে মায়ের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। মেয়ে মাকে জানায় একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তার। সে-ই তাকে ‘অত্যাচার’ করেছে। সব শুনে মেয়েকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান মা। কিন্তু পরে মেয়ের কাছ থেকে জানতে পারেন এই কাজের জন্য দায়ী ‘সৎ বাবা’। প্রাণের ভয়ে মাকে মিথ্যে বলেছে সে। এর পর আইনের দ্বারস্থ হন মা-মেয়ে।

Advertisement

ডিএনএ রিপোর্ট, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ এবং ৯ জনের সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.