Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Delhi Municipal election

নেই নেতা-কর্মীদের জমায়েত, পুরভোটের গণনার সময় দিল্লিতে তালাবন্ধ কংগ্রেস দফতর!

আপের সঙ্গে বিজেপির ‘কড়া টক্কর’ আবার বুথফেরত সমীক্ষার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও, এক জায়গায় মিলে গিয়েছে পূর্বাভাস— কংগ্রেস এ বার পুরভোটে কার্যত নিশ্চিহ্ন।

দিল্লিতে পুরভোটের গণনার সময় রাজস্থানে ভারত জোড়া যাত্রায় রাহুল গান্ধী।

দিল্লিতে পুরভোটের গণনার সময় রাজস্থানে ভারত জোড়া যাত্রায় রাহুল গান্ধী। ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১৫:৩৫
Share: Save:

আভাস পাওয়া যাচ্ছিল ভোটের মাস কয়েক আগে থেকেই। সেই আভাসকে আরও শক্ত ভিতে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল সব ক’টি বুথফেরত সমীক্ষা। গত রবিবার হওয়া দিল্লি পুরসভা ভোটের পর সব বুথফেরত সমীক্ষাই অনেকটা এগিয়ে রেখেছিল অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আম আদমি পার্টি (আপ)-কে।

বুধবার সকালে ভোটগণনা শুরু হওয়ার পরে আপের সঙ্গে বিজেপির ‘কড়া টক্কর’ আবার বুথফেরত সমীক্ষার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও, এক জায়গায় মিলে গিয়েছে পূর্বাভাস— কংগ্রেস এ বার পুরভোটে কার্যত নিশ্চিহ্ন। ২৫০ ওয়ার্ডের দিল্লি পুরসভায় মাত্র ৮টিতে জিতেছেন ‘হাত’ চিহ্নের প্রার্থীরা। লড়াই চালাচ্ছেন আরও খান দু’য়েক ওয়ার্ডে।

দিল্লিতে তালাবন্ধ কংগ্রেস দফতর।

দিল্লিতে তালাবন্ধ কংগ্রেস দফতর। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।

এক দশক আগেও দেশের রাজধানীতে ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের এমন শোচনীয় হাল অবশ্য প্রত্যাশিতই ছিল ভোট পণ্ডিতদের বড় অংশের কাছে। সম্ভবত, দিল্লির কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের কাছেও ভোটের ফলের স্পষ্ট বার্তা ছিল। সকাল থেকে বিজেপি এবং আপের দফতরে উৎসুক ভিড় নজরে এলেও ২৪ আকবর রোড ছিল শুনশান। এমনকি, দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেস দফতরের প্রধান ফটকও ছিল বন্ধ!

খড়্গেকেও দিল্লির পুরভোটের প্রচারে দেখা যায়নি। অন্য দিকে, গুজরাতের ভোট সামলে অরবিন্দ কেজরীওয়াল-সহ আপ নেতারা দিল্লিতে সময় দিয়েছেন। বিজেপির ১৬ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিভিন্ন এলাকার দায়িত্ব নিয়ে ধারাবাহিক প্রচার চালিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় কংগ্রেস নেতাদের ম্যাড়মেড়ে প্রচার ভোটারদের মনে কোনও দাগ কাটতেই পারেনি।

২০১৭ সালে দিল্লির তিন পুরসভা মিলিয়ে মোট ২৭২ আসনের মধ্যে ১৮৩টিতে জিতেছিল বিজেপি। কয়েক যোজন দূরে থেকে মাত্র ৪৪টি আসন পায় জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের শাসকদল আপ। কংগ্রেস জিতেছিল ৩০টিতে। অবশ্য তার দু’বছর আগেই ২০১৫ সালের বিধানসভা ভোটে ‘শূন্য’ হয়ে গিয়েছিল ২০১৩ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস। ২০২০ সালের বিধানসভা ভোটেও কোনও আসনে জিতে পারেনি সনিয়া-রাহুলের দল। এ বার পুরভোটেও তলানিতে ঠেকল দলের জনসমর্থন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE