প্রতীকী ছবি।
বৈদ্যুতিন মাধ্যমে পোস্টাল ব্যালটের সাহায্যে অনাবাসী ভারতীয়দের ভোটদানের বাধা কাটল। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের এই প্রস্তাবে সায় দিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। যদিও এ বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষেরই মতামত গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনকে পরামর্শ দিয়েছে মন্ত্রক।
কমিশন সূত্রে খবর, এই প্রস্তাব কার্যকরী করতে ১৯৬১ সালের নির্বাচনী আইন পরিবর্তনের প্রয়োজন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আইন পরিবর্তনের জন্য গত ২৭ নভেম্বর আইন মন্ত্রকের সচিবের কাছে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে কমিশন।
কমিশনের দাবি, দেশের সাধারণ নির্বাচনের পাশাপাশি আগামী এপ্রিল-মে মাসে অসম, পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরিতে বিধানসভা নির্বাচনে অনাবাসী ভারতীয়রা যাতে বৈদ্যুতিন মাধ্যমের সাহায্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, তার জন্য প্রশাসনিক ভাবে তারা প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: ‘সেন্ট্রাল ভিস্টা’ প্রকল্পে সুপ্রিম কোর্টের সবুজ সঙ্কেত
আরও পড়ুন: দেরি করে বাড়ি ফেরার ‘অপরাধে’ ঘুমন্ত স্বামীর মুখে ফুটন্ত তেল ঢেলে দিলেন স্ত্রী!
আইন মন্ত্রালয়ের কাছে চিঠিতে কমিশন জানিয়েছে, পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটের জন্য অনাবাসী ভারতীয়দের কাছ থেকে বহু অনুরোধ পেয়েছেন তারা। চাকরি, পড়াশোনা বা ভ্রমণের জন্য যে সমস্ত ভারতীয় দেশছাড়া, মূলত তাঁদের কাছ থেকেই এই অনুরোধ এসেছে। পাশাপাশি, করোনার মতো অতিমারির জেরে যাঁরা বিদেশে গিয়ে আটকে পড়েছেন, তাঁরাও ইলেকট্রনিক্যালি-ট্রান্সমিটেড পোস্টাল ব্যালট সিস্টেম (ইটিপিবিএস)-এর সুবিধা নিতে ইচ্ছুক।
কমিশন জানিয়েছে, পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার জন্য অনাবাসী ভারতীয়দের ফর্ম ১২ পূরণ করতে হবে। নির্বাচনের নির্দেশিকা জারির অন্তত পাঁচ দিন আগে রিটার্নিং অফিসারের কাছে পোস্টাল ব্যালট পৌঁছনো প্রয়োজন। এর পর ওই অফিসারের স্বাক্ষরিত ব্যালটটি ভোটগণনার দিন সকাল ৮টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট অনাবাসী ভারতীয়র ভোটকেন্দ্রে জমা হতে হবে।
প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত অনাবাসীরা এই ব্যবস্থায় ভোটদান করতে না পারলেও সেনা, আধাসামরিক বাহিনী এবং সরকারি চাকরির জন্য বিদেশে বসবাসকারীরা এই ব্যবস্থায় ভোট দিতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy