তদন্ত: আটকে থাকা শ্রমিকদের পরিবারকে গলিত দেহাংশের অবস্থা মনিটরে দেখাচ্ছে সেনা। বৃহস্পতিবার কসানে। নিজস্ব চিত্র
কসানে উদ্ধারকাজ গুটিয়ে আনার পরিকল্পনা করার মুখেই নৌসেনার ক্যামেরায় ধরা পড়ল একটি গলিত দেহাংশ। ফলে উদ্ধারকাজ ফের জোরদার করা হল। কিন্তু দেহগুলি এতটাই গলে গিয়েছে যে তা আদৌ গহ্বর থেকে বের করা সম্ভব কিনা, করে কোনও লাভ হবে কি না—সেই সিদ্ধান্ত আটকে পড়া ১৫ জন শ্রমিকের পরিবারের উপরে ছাড়ল মেঘালয় প্রশাসন।
গত কয়েক দিন ধরে নৌসেনার রিমোট চালিত যান কসানের গহ্বরে তল্লাশি চালালেও জলের মধ্যে বসানো পাম্পের ফলে তা এদিক-ওদিক করতে সমস্যা হচ্ছিল। গত কাল মূল গহ্বর থেকে পাম্প তুলে নিয়ে রিমোট যানকে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় কসানের মূল গহ্বরের জমে থাকা ২১০ ফুট জলের তলায়, একটি ইঁদুর গর্ত সুড়ঙ্গের ভিতরে গলিত দেহের ছবি ধরা পড়ে। আজ সরকারি ভাবে দেহের ছবি মেলার কথা জানায় নৌসেনা। জেলাশাসক এফ এম ডপ্থ স্থানীয় তিন শ্রমিকের পরিবার ও অসমের চিরাঙ জেলার দুই শ্রমিকের পরিবারকে ঘটনাস্থলে ডেকে পাঠান। উদ্ধার হওয়া দেহাংশের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়েছে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদেরও।
নৌসেনা ওই দেহাংশ সুড়ঙ্গ থেকে বের করে মূল গহ্বরে আনে। এরপর জলের ২১০ ফুট গভীরতা থেকে দেহটি ১০০ ফুট উচ্চতায় উঠিয়ে আনা হয়। কিন্তু তা করতে গিয়ে গলিত দেহটির বিভিন্ন অংশ খসে পড়ে গিয়েছে। মনিটরে রিমোট যানের ক্যামেরায় তোলা সেই ছবি পরিবারের সদস্যদের দেখিয়ে উদ্ধারকারীরা জানান, দেহগুলির সন্ধান মিললেও মাসাধিককাল ২০০ ফুট গভীরে, অ্যাসিড মিশ্রিত জলের তলায় থাকা দেহগুলি আস্ত অবস্থায় বের করা অসম্ভব। এই পরিস্থিতিতে পরিবারগুলি কী চায়, তা তাঁরা আগামী কালের মধ্যে জানাক। তবে পাম্পের মাধ্যমে জল বের করার কাজ চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy