ফাইল চিত্র।
কী কারণে সংক্রমণ ফের বাড়ছে তা খতিয়ে দেখতে ‘জিনোম সিকোয়েন্সিং’ শুরু করল মহারাষ্ট্র এবং কেরল। ইতিমধ্যেই এই দুই রাজ্য থেকে ৮০০ এবং ৯০০ নমুনা এই পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে। সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য করোনার নতুন প্রজাতি দায়ী, নাকি অন্য কোনও কারণ আছে তা আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে মন্ত্রক সূত্রে খবর।
গোটা দেশে যখন করোনার সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে, ঠিক সেই সময়েই পাঁচটি রাজ্য— মহারাষ্ট্র, কেরল, পঞ্জাব, কর্নাটক এবং তামিলনাড়ুতে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করায় চিন্তায় বাড়ছে কেন্দ্রের। এই পাঁচ রাজ্যের মধ্যে মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। দৈনিক প্রায় ৭ হাজারের মতো আক্রান্ত হচ্ছেন ওই রাজ্যে। কেরলে এই সংখ্যাটা ২ হাজার ছাড়িয়েছে।
সংক্রমণ যেমন বাড়ছে, দৈনিক মৃত্যুও পাশাপাশি বাড়তে শুরু করেছে। মহারাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি জেলায় ইতিমধ্যেই পূর্ণ এবং আংশিক লকডাউন ঘোষণা করেছে রাজ্য প্রশাসন। অন্য দিকে, কেরলেরও বেশ কয়েকটি জেলায় উদ্বেগজনক ভাবে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। মঙ্গলবার কেন্দ্রায় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৫৮৪ জন। তার মধ্যে মহারাষ্ট্র এবং কেরল এই দুই রাজ্য মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৭ হাজার।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর ডিরেক্টর জেনারেল জানিয়েছেন, ৫ শতাংশ জিনোম সিকোয়েন্স-এর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই কাজ চলছে।
সূত্রের খবর, জিনোম সিকোয়েন্স-এর পাশাপাশি একবারে তৃণমূল স্তরে গিয়ে খতিয়ে দেখার চেষ্টা চলছে নতুন কোনও প্রজাতির আবির্ভাব ঘটল কি না। রাজ্যগুলোকে নতুন প্রজাতির উপর নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। সেই সঙ্গে কী কী পদক্ষেপ করতে হবে তা নিয়েও রাজ্যগুলোকে একটা নির্দেশিকা দিয়েছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy