নয়ডার আবাসন থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ফাইল চিত্র।
সকাল ছ’টা। উত্তেজিত এক দল বিক্ষোভকারীর চেঁচামেচিতে ঘুম ভেঙে গিয়েছিল নয়ডার ‘মহাগুণ মডার্ন’ আবাসনের। গেটের বাইরে তখন উত্তপ্ত পরিস্থিতি। লাঠিসোঁটা, ইট-পাটকেল হাতে গেট ভেঙে আবাসন চত্বরে ঢোকার চেষ্টা করছেন শতাধিক বিক্ষোভকারী।
পরিস্থিতি দেখতে বেরিয়ে আসেন বাসিন্দারা। জানা যায়, জোহরা বিবি নামে এক পরিচারিকাকে সারারাত ঘরে আটকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ওই আবাসনের এক পরিবারের বিরুদ্ধে। তার জেরেই ওই পরিচারিকার আত্মীয় ও পড়শিরা এসে চড়াও হয়েছেন। রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধের চেহারা নেয় ওই এলাকা।
যে পরিবারটির বিরুদ্ধে জোহরাকে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ উঠেছে, তার কর্ত্রী মিতুল শেট্টি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। শেট্টি পরিবারের পাল্টা অভিযোগ, তাঁদের ঘর থেকে ১০ হাজার টাকা চুরি করেছিলেন জোহরা। চুরির কথা কবুলও করেছিলেন তিনি। এর পর ওই হাউসিং সোসাইটির দফতরে অভিযোগ জানানোর হুমকি
দিলে পালিয়ে যান জোহরা। আবাসনের
অন্য বাসিন্দারাও জানান, জোহরাকে আটকে রাখা হয়নি। ওই আবাসনেরই এক বৃদ্ধাকে দেখাশোনা করেন তিনি। সেখানেই সারারাত ছিলেন জোহরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, বাংলাদেশ থেকে আসা জোহরা আবাসনের অনেক পরিবারেই কাজ করতেন। তাঁর এক আত্মীয়ের দাবি, কাল সারা দিন বাড়ি ফেরেননি তিনি। জোহরার খোঁজে ই আবাসনে যান পরিবার ও পড়শিরা। কিন্তু সেখানে জানানো হয়, জোহরা আবাসনে নেই। কিন্তু তার পরে ওই আবাসন থেকেই জোহরাকে বেরোতে দেখা যায়। জোহরা জানিয়েছেন, চুরির অভিযোগ তুলে একটি ঘরে আটকে রাখা হয় তাঁকে।
এর পরেই শুরু হয় তাণ্ডব। আবাসনের মূল ফটকের বাইরে জমা হন শ’তিনেক মানুষ। নিরাপত্তার বেড়া টপকে আবাসন চত্বরে ঢুকে পড়ে ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করেন বিক্ষোভকারী। তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে এই তাণ্ডব। পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে-সুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শেট্টি পরিবারকে ওই আবাসন থেকে অন্য জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আবাসনের অন্য বাসিন্দারাও এ দিন ঘরবন্দি ছিলেন। বাড়ির ছোটদের স্কুলেও পাঠাতে পারেননি তাঁরা।
পুলিশ জানিয়েছে, জোহরাকে আটকে মারধরের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসাও হয়েছে। তবে শেট্টি পরিবারের তরফে এখনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy