বৃষ্টি তাঁকে দমাতে পারবে না। হাতে থাকবে না কোনও বাঁধাধরা স্ক্রিপ্ট। সেই অর্থে কিছুটা স্বতন্ত্র পথেই প্রথম বার লাল কেল্লা থেকে স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতার প্রস্তুতি নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মনে করা হচ্ছে সম্ভবত তিনিই প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যাঁর বক্তৃতার সময়ে সামনে রাখা থাকবে না আগে থেকে লেখা কোনও স্ক্রিপ্ট। একটি সূত্রের খবর, কিছু পয়েন্ট লেখা কাগজ বড়জোর থাকতে পারে তাঁর কাছে। এ ক্ষেত্রে মোদী অবশ্য ব্যতিক্রমী হওয়ার দাবি করলেও অনেকে বলছেন, তাঁর এই কৌশল একেবারে নতুন কিছু, এমন ভাবার কারণ নেই। কারণ ক্রিকেট তারকা সচিন তেন্ডুলকরের বিদায়ী-বক্তৃতার সময়ে দেখা গিয়েছিল এমনই দৃশ্য। একটি কাগজে কিছু পয়েন্ট লিখে তিনিও নিজের কথা বলেছিলেন স্বকীয় ভঙ্গিতে।
এই প্রশ্ন থেকে আপাতত সরে গিয়ে বিজেপি সূত্রের দাবি, এমনিতেই জনতার সঙ্গে সংযোগ তৈরির সহজাত ক্ষমতা রয়েছে মোদীর। যিনি তাঁর প্রেরণা, সেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীও সুবক্তা। তবে তিনিও স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতায় আগে তৈরি করা স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করতেন। তাই ওই ভাষণে বাজপেয়ী-সুলভ আমেজ খুঁজে পাওয়া যায়নি। মোদী সেই স্বতঃস্ফূর্ততা বজায় রাখতেই আগে তৈরি করা কোনও স্ক্রিপ্ট সঙ্গে রাখছেন না। তিনি চান, আগেকার সব প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা থেকে তাঁর বক্তৃতা হবে একেবারেই আলাদা।
সে জন্য প্রধানমন্ত্রী নাকি আগে থেকেই নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন, বক্তৃতার সময়ে যদি বৃষ্টি নামে, তাঁর মাথার উপরে কোনও ছাতা যেন না ধরা হয়। তিনি বৃষ্টির মধ্যেই বক্তব্য রাখবেন। আগামিকাল সকাল সাতটা কুড়ি নাগাদ নরেন্দ্র মোদীর লাল কেল্লা পৌঁছনোর কথা। সেনাবাহিনীর গার্ড অব অনারের পরে পতাকা উত্তোলন করবেন তিনি। তার পরে ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা মোদীর বক্তব্য রাখার কথা। বক্তৃতায় থাকবে প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ এবং পুনর্গঠন সংক্রান্ত কথা। কোনও বড় প্রকল্পের কথা উল্লেখ করা হবে না।
অন্যান্য বারের তুলনায় এ বার স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান আরও একটি দিক থেকে আলাদা। প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রের খবর, দশ হাজারেরও বেশি মানুষ মোদীর কথা শুনতে আসবেন। সেই মতো বসার আয়োজন করা হয়েছে। মোদীর বক্তব্যের উল্লেখযোগ্য অংশ জনতার কাছে পৌঁছে দিতে ৪০ কোটি এসএমএস পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy