দখল: ভারতের গ্রামে স্তম্ভ বসাচ্ছে মায়ানমারের সেনা ও গ্রামবাসীরা। ছবি: জি কামেই
মায়ানমারের সেনা ও গ্রামবাসীরা মিলে মণিপুরে অনেকটা জমি জবরদখল করে নিল। উৎখাত হয়েছে ৬২টি পরিবার।
মায়ানমার সেনার ভারতে জমি দখল করার ঘটনা নতুন নয়। অতীতেও সীমান্তের বিতর্কিত বিভিন্ন অংশ তারা দখল করেছে। কিন্তু আসাম রাইফেলস পরে তা উদ্ধারও করেছে। কিন্তু এ বার মণিপুরের নবগঠিত টেংনাউপাল জেলায় এন সৎসঙ্গ ও চোকটং গ্রামে অনেকটা জমি দখল করে মায়ানমারের স্তম্ভও পুঁতে দিয়েছে তারা। এই এলাকায় গাড়ি যাওয়ার রাস্তা নেই। আসাম রাইফেলসের নজরদারিও কম। তারই সুযোগ নিয়েছে মায়ানমার। সৎসঙ্গের ২৬টি ও চোকটংয়ের ৩৬টি পরিবার গ্রাম ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।
গোটা ঘটনাটি জানিয়ে ইউনাইটেড নাগা কাউন্সিল ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছে। ওই এলাকায় আসাম রাইফেলসের স্থায়ী চৌকি গড়ার দাবিও তুলেছে তারা। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ জানান, রাজ্য সরকার ওই এলাকায় সরকারি প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে। তাঁরা সরেজমিনে গোটা বিষয়টি দেখে প্রতিবেদন জমা দেবেন। পূর্তমন্ত্রী টি বিশ্বজিৎ সিংহ বলেছেন, ‘‘মণিপুরের এক ইঞ্চি মাটিও মায়ানমারকে জবরদখল করতে দেওয়া হবে না।’’
গ্রামসভার চেয়ারম্যান টি কে কোঠিল মারিং জানান, ২৯ এপ্রিল প্রথম বার দখলদাররা ঢুকেছিল। ১০ জন সশস্ত্র মায়ানমার সেনা এইচ লাংচাম গ্রামে এসে স্থানীয় কাঠের কারখানা লন্ডভন্ড করে দিয়ে যায়। গ্রামবাসীরা কাছেই মোরে থানা ও ১১ আসাম রাইফেলসকে খবর পাঠালে জওয়ানরা এসে জমি পুনর্দখল করে। এর পরে ১ মে ফের মায়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী সৎসঙ্গ ও চোকটং গ্রামে ঢুকে ভারতীয় সীমান্ত স্তম্ভ উপড়ে নিজেদের থাম গেঁথে দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy