—ফাইল চিত্র।
কৃষক নিয়ে হাত পুড়েছে। নরেন্দ্র মোদীর কাছে এখন বড় আশঙ্কা বিজেপির ব্যবসায়ী ভোটব্যাঙ্ক। ১ জুলাই থেকে জিএসটি চালুর পরে ব্যবসায়ীদের ক্ষোভও যাতে কৃষকদের মতো ফেটে না পড়ে, সে জন্য এখন থেকেই ঘর গোছানো শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী।
বিজেপি সূত্রের খবর, ১ জুলাই জিএসটি চালুর একদিন পর থেকে টানা এক সপ্তাহ সব মন্ত্রীকে দেশের নানা প্রান্তে গিয়ে জিএসটি-র সুফল বোঝানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সময় বাকি সব কাজ শিকেয় তুলে জিএসটিকেই প্রাধান্য দিতে হবে বলে নির্দেশ তাঁর। দল ও সংগঠনের নেতারাও একই ভাবে রাজ্যে-রাজ্যে ঘুরে ব্যবসায়ীদের বোঝাবেন। সে জন্য কর্মসূচি তৈরি হচ্ছে। লক্ষ্য স্পষ্ট, কোনও ভাবেই ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ যেন দানা না বাঁধে। দলের এক নেতার মতে, ‘‘এমনিতেই কৃষক প্রশ্নে নাজেহাল অবস্থা। ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ শুরু হলে সামলানোই দায় হবে!’’
বিজেপি নেতৃত্ব জানেন, ১ জুলাই জিএসটি চালু হলে প্রথম দিকে বিস্তর অসুবিধা হবে ব্যবসায়ীদের। বিশেষত ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের একাংশ এখনও বলে চলেছেন, তাঁরা প্রস্তুত নন। পশ্চিমবঙ্গ ১ জুলাই থেকে জিএসটি চালুর বিপক্ষে। রাজ্যের তোলা অসঙ্গতি দূর করতেই কাল ফের দিল্লিতে বৈঠক ডেকেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। কিন্তু জিএসটি চালু হলে যে বিস্তর বিভ্রাট তৈরি হবে, তা গোয়েন্দা সূত্রেও জানতে পেরেছে সরকার। বিরোধীরা ব্যবসায়ীদের নিয়ে আন্দোলনে নামারও প্রস্তুতি নিচ্ছে। সে কারণেই আগাম সতর্ক মোদী।
শুধু বিরোধীরা নন, সঙ্ঘের ছোট ব্যবসায়ীদের সংগঠন ‘লঘু উদ্যোগ ভারতী’ও জিএসটি নিয়ে অখুশি। বারবার তারা বলেছে, অন্তত ছোট-মাঝারি ব্যবসায়ীদের এর আওতার বাইরে রাখা হোক। কিন্তু কেন্দ্র কর্ণপাত করেনি। বিজেপি সমর্থিত ব্যবসায়ী সংগঠনও আজ দিল্লিতে জানিয়েছে, ৬০ শতাংশ ছোট ব্যবসায়ী জিএসটি নিয়ে প্রস্তুত নয়। আগামী ৯ মাস তাঁদের কিছুটা ছাড় দিক কেন্দ্র। বিজেপির এক নেতা বলেন, অনেক ক্ষেত্রে দলের এই সব সংগঠনের সমর্থন মেলে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কেউ খুশি নয়। মধ্যপ্রদেশে সঙ্ঘের কৃষক সংগঠন রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়ালেও বাকিরা মাঠে নেমেছে। সেখানে পুলিশের গুলি গোটা দেশের কৃষক সমস্যাকে আগ্নেয়গিরিতে পরিণত করেছে। জিএসটি নিয়েও একই পরিণতি চাইছে না কেন্দ্র। পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের একটা বড় অংশ বরাবরই বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক। তাই গোড়া থেকেই সতর্ক মোদী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy