তাঁর বাংলাদেশ সফরের দ্বিতীয় দিন ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়ে শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার সকালে পৌনে ন’টা নাগাদ তিনি মন্দিরে পৌঁছন। সেখানে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান মন্দির কমিটির সদস্যরা। মন্দিরে পুজো দেন তিনি। প্রায় ১৫ মিনিট সময়ও কাটান সেখানে। মন্দির কমিটির তরফ থেকে মোদীকে একটি স্মারক দেওয়া হয়। এ দিন প্রধানমন্ত্রীর মন্দির পরিদর্শনকে ঘিরে নিরাপত্তার বেষ্টনীতে মুড়ে ফেলা হয় গোটা এলাকা। এক ঘণ্টার জন্য সাধারণ দর্শণার্থীদের মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীকে দেখার জন্য উত্সাহী মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
এর পর মোদী সোজা চলে যান রামকৃষ্ণ মিশনে। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান মিশন হেড কোয়ার্টারের (কলকাতা) প্রশাসনিক প্রধান স্বামী সুহিতানন্দ এবং ঢাকা মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী ধ্রুবেশানন্দ। মিশনের সন্ন্যাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। মোদীকে অভ্যর্থানা জানাতে দেশের ১৪টি আশ্রম থেকে সন্ন্যাসীরা এখানে উপস্থিত হয়েছিলেন। মিশনের তরফ থেকে মোদীকে ঢাকাই মসলিন উপহার দেওয়া হয়। বেশ কিছু ক্ষণ সেখানে সময় কাটানোর পর বারিধারায় ভারতীয় হাইকমিশনের উদ্দেশে রওনা হন মোদী। সেখানে নতুন চ্যান্সেরি উদ্বোধনের পাশাপাশি ছ’টি নতুন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি।
এ দিন দুপুর পৌনে ১টা নাগাদ রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছন মোদী। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান মেজর জেনারেল আবুল হোসেন এবং রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিব শফিকুল ইসলাম। এর পর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় হয় মোদীর।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকার কথা স্মরণ করে রাষ্ট্রপতি হামিদ এ দিন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীকে ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মান’ দেন। অসুস্থতার জন্য বাজপেয়ী অনুপস্থিত থাকায় সফররত নরেন্দ্র মোদীর হাতে ওই সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। বঙ্গভবনের ওই অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোদীকে “বাজপেয়ীর যোগ্য উত্তরসূরি এবং বাংলাদেশের বন্ধু” বলে উল্লেখ করেন। বাজপেয়ীর হয়ে সম্মাননা গ্রহণ করে মোদী বলেন, “অটলবিহারীর মতো এমন ভারতরত্নকে বাংলাদেশ সম্মানিত করছে। ভারতবাসীর জন্য এ এক গৌরবের মুহূর্ত।”
সফরের শেষ দিনে বাংলাদেশের বিরোধী নেত্রী বিএনপি-র খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এ দিন বিকেল সওয়া ৪টা নাগাদ সোনারগাঁও হোটেলে ওই বৈঠক চলে। সূত্রের খবর, মোদী-খালেদার একান্তে কথা হয় মিনিট পনেরো। এ দিন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বক্তব্য রাখেন মোদী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy