লোকসভা ভোটের এক বছর আগে উপনির্বাচনে ফের হার শিবরাজ সিংহ চৌহানের রাজ্যেই। শরিকেরাও জোট ছাড়ছে। ব্যাঙ্ক জালিয়াতির কেলেঙ্কারি নিয়ে নাজেহাল অবস্থা। এই অবস্থায় ২০১৯ সালের কৌশল রচনায় বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বসলেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ।
বিরোধীদের গা নেই দেখে মোদী-শাহ নিজের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরই বললেন, এক সঙ্গে লোকসভা-বিধানসভা ভোটের দাবি তুলতে হবে। পাশাপাশি ‘মোদী কেয়ার’-এর মতো প্রকল্পগুলিকে জনপ্রিয় করতে হবে। বিজেপি ও এনডিএ শাসিত মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীদের আজ দিল্লিতে দলের নতুন দফতরে ডেকে প্রায় চার ঘণ্টা বৈঠক করেন মোদী-শাহ। সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানো নিয়ে প্রথমে অমিত শাহ, তার পরে কেন্দ্রের প্রকল্প নিয়ে বলেন মোদী। মুখ্যমন্ত্রীদের পর্ব সেরে নিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে একান্ত বৈঠকও করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিজেপি সূত্রের মতে, এই মুহূর্তে পরিস্থিতি একেবারেই অনুকূল নয়। সরকারের গায়ে দুর্নীতির আঁচ লাগছে। মোদীর জনপ্রিয়তাতেও ভাঁটা পড়ছে। তার ওপর জোট বাঁধছে বিরোধীরা। এই অবস্থায় পরিস্থিতি সহজ করে ভোটের জন্য ঝাঁপানোই দলের লক্ষ্য। ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহ বলেন, ‘‘২০১৮, ১৯ বা ২২ সালে একসঙ্গে ভোট করানো নিয়ে ‘জন-জাগৃতি’ করা হবে।’’