Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
National News

নির্ভয়া কাণ্ডে ফাঁসি ১ ফেব্রুয়ারি, নয়া মৃত্যু পরোয়ানা জারি আদালতের

গত ৭ জানুয়ারি মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে দিল্লির আদালত জানিয়েছিল ২২ জানুয়ারি সকাল সাতটায় তিহাড় জেলে চার দোষীর ফাঁসি হবে।

নির্ভয়া কাণ্ডে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত চার আসামী। —ফাইল চিত্র

নির্ভয়া কাণ্ডে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত চার আসামী। —ফাইল চিত্র

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২০ ১৭:০৪
Share: Save:

দিল্লি সরকার হাইকোর্টে বলেছিল, আইনি কারণে ২২ জানুয়ারি ফাঁসি দেওয়া সম্ভব নয়। তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ নতুন দিনতারিখ চেয়েছিল। ফলে নির্ভয়া কাণ্ডে নিম্ন আদালতের জারি করা মৃত্যু পরোয়ানা নির্ধারিত দিনে কার্যকর হবে কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। অবশেষে সেই সব জল্পনা-জটিলতায় ইতি টানল দিল্লির দায়রা আদালতই। জারি করল নয়া মৃত্যু পরোয়ানা। সেই অনুযায়ী ফাঁসির দিনক্ষণ ধার্য করা হয়েছে ১ ফেব্রুয়ারি, সকাল ছ’টা। অর্থাৎ ফের পিছিয়ে গেল নির্ভয়া কাণ্ডের চার দোষীর ফাঁসির দিন। ঘটনাচক্রে সেই দিনই বাজেট পেশ হওয়ার কথা।

গত ৭ জানুয়ারি নির্ভয়া কাণ্ডে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছিল দিল্লির দায়রা আদালত। ওই পরোয়ানায় বলা হয়েছিল, ২২ জানুয়ারি সকাল সাতটায় চার দণ্ডিতের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে। সেই মতো প্রস্তুতি চলছিল তিহাড় জেলে। শুক্রবার নতুন পরোয়ানা জারি করে ফাঁসির জন্য নতুন দিন ও সময় ঘোষণা করল সেই দায়রা আদালত। ফলে আরও এক সপ্তাহ পিছিয়ে গেল নির্ভয়া কাণ্ডের দোষীদের ফাঁসি।

এক এক করে আইনের সব রাস্তা যখন বন্ধ হচ্ছিল, তখনই শেষ বিকল্প হিসেবে সুপ্রিম কোর্টে রায় সংশোধনের আর্জি (কিউরেটিভ পিটিশন) জানিয়েছিল দুই দণ্ডিত বিনয় শর্মা ও মুকেশ সিংহ। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। এর পর প্রাণভিক্ষার আর্জি জানায় মুকেশ। একই সঙ্গে দিল্লির দায়রা আদালতের জারি করা মৃত্যু পরোয়ানা খারিজ করার আর্জি নিয়ে হাইকোর্টেও গিয়েছিল মুকেশ। মুকেশের আইনজীবীদের যুক্তি ছিল, রাষ্ট্রপতি প্রাণভিক্ষার আর্জি মঞ্জুর করতেই পারেন। তাই মৃত্যু পরোয়ানা খারিজ করা হোক।

আরও পড়ুন: ‘নাবালক ছিলাম’, ফাঁসি এড়াতে নয়া আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পবন গুপ্ত

সেই মামলার শুনানিতেই দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়, আইনের সমস্ত বিকল্প শেষ হওয়ার পরেও ফাঁসির প্রস্তুতি ও প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য ১৪ দিন সময় দিতে হয়। জেল ম্যানুয়ালেও সেই কথাই বলা হয়েছে। ফলে ২২ জানুয়ারি ফাঁসি কার্যকর করা সম্ভব নয়। তার জন্য অবশ্য বিজেপির তোপের মুখেও পড়েছিল দিল্লির আপ সরকার। কিন্তু হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, মৃত্যু পরোয়ানা জারির মধ্যে কোনও গলদ নেই। তবে এই আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে বা নিম্ন আদালতে যেতে পারে আবেদনকারী। আবার তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষও সরকারের কাছে আর্জি জানায়, নতুন দিনক্ষণ ঘোষণা করার জন্য

আরও পড়ুন: মুকেশের ফাঁসি হচ্ছেই, প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করলেন রাষ্ট্রপতি

মুকেশ যে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানিয়েছিল, দিল্লির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, উপ-রাজ্যপাল, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক হয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে গিয়েছিল গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে। শুক্রবার সকালেই সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। তার পরেই দিল্লি আদালত জারি করল নতুন মৃত্যু পরোয়ানা। অন্য দিকে, শুক্রবারই এই মামলায় দণ্ডিত পবন গুপ্ত সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। তার বক্তব্য, অপরাধের সময় সে নাবালক ছিল। তাই এই মামলায় অন্য এক নাবালককে যে ভাবে জুভেনাইল আইনে বিচার হয়েছে, তাকেও সেই ভাবেই বিচার করা হোক।

২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর রাতে দিল্লির রাজপথে চলন্ত বাসে তুলে নির্ভয়াকে ধর্ষণ ও নৃশংস অত্যাচার করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছিল মোট ৬ জন। তার মধ্যে বিচার চলাকালীনই রাম সিংহ নামে এক অভিযুক্ত তিহাড় জেলে আত্মহত্যা করেছিল। জুভেনাইল আইনে নাবালক অভিযুক্তকে তিন বছরের সাজা ঘোষণা হয়েছিল। সেই মেয়াদ শেষে ছাড়া পেয়ে গিয়েছে তখনকার সেই নাবালক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Nirbhaya Rape Case Death Sentence
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE