পৃথক রাজ্যের দাবিতে ‘জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি ফর অটোনমাস স্টেট’ (জাকাস)-এর ডাকা ‘হাজার ঘণ্টা’-র বনধের প্রথম দিনেই ডিমা হাসাও ও কার্বি আংলং-সহ উত্তর-পূর্বের বহু এলাকার জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হল।
বনধের প্রভাব পড়েছে নাগাল্যান্ড-মণিপুরেও। কার্বি আংলং ও ডিমা হাসাও---এই দু’টি পার্বত্য জেলাকে মিলিয়ে পৃথক রাজ্য গড়ার দাবিতে গত কয়েক বছর ধরেই আন্দোলন করছে ‘জাকাস’। গত বছর তাদের বনধ-অবরোধের ধাক্কায় কেন্দ্র ও রাজ্য বাধ্য হয়ে এ নিয়ে ত্রিপাক্ষিক আলোচনায় বসে। তখন পৃথক রাজ্যের রূপরেখা নিয়ে ‘জাকাস’ কেন্দ্র ও রাজ্যের কাছে স্মারকপত্র জমা দেয়। কিন্তু গত বছর নভেম্বরের পরে বার বার আবেদন জানানো সত্ত্বেও কেন্দ্র পরবর্তী আলোচনায় উৎসাহ না দেখানোয় আজ ভোর পাঁচটা থেকে ‘জাকাস’ হাজার ঘণ্টার বনধ ও জাতীয় সড়ক অবরোধ শুরু করেছে।
একই সঙ্গে রেলপথ অবরোধও শুরু হয়েছে। যার ফলে নগাঁও, যোরহাট, গুয়াহাটির বিভিন্ন স্টেশনে রাজধানী, জনশতাব্দী, শিলঘাট-সহ বহু ট্রেন আটকে পড়ে। পরে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে হাজার ঘণ্টার বনধ চালিয়ে গেলেও ট্রেন অবরোধ আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। কমিটির দাবি, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে পৃথক রাজ্য গড়ার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় বিল উত্থাপন করতে হবে।
অবরোধের জেরে ৩৯ নম্বর জাতীয় সড়কে আজ গাড়ি চলাচল পুরো বন্ধ হয়ে যায়। ফলে নাগাল্যান্ড-মণিপুরগামী যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী গাড়িও আটকে পড়ে। নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী টি আর জেলিয়াং সে রাজ্যে খাদ্য, জ্বালানি ও পণ্য সংকটের আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। তিনি লেখেন, নাগাল্যান্ড বা মণিপুরের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক না থাকা অসমের সমস্যার জন্য প্রায়ই নাগাল্যান্ড ও মণিপুরবাসী নাজেহাল হচ্ছেন। এর স্থায়ী বিহিত প্রয়োজন। অসম পুলিশ জানিয়েছে, তারা দিনে তিনবার পুলিশ প্রহরা দিয়ে নাগাল্যান্ড ও কার্বি আংলং-এর দুই পাশে আটকে পড়া গাড়ি সীমানার ওপারে পৌঁছে দেবে। রাতে গাড়ি চলবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy