E-Paper

কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহার নিয়ে আলোচনার দাবি

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অরবিন্দ কেজরীওয়াল সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো নষ্ট করার অভিযোগে বৈঠকে সরব হন আপ নেতৃত্ব।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ ০৯:১৩
CBI

—প্রতীকী ছবি।

আগামিকাল থেকে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় নরেন্দ্র মোদী সরকারের শেষ লোকসভা অধিবেশন। সেই অন্তর্বর্তী বাজেট অধিবেশনে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার অপব্যবহার, বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি, মণিপুরে অশান্তি, সাম্প্রদায়িক অশান্তির মতো বিষয়গুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা চাইছেন বিরোধীরা।

কিন্তু প্রশ্ন, শেষ পর্যন্ত আলাদা করে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনার সুযোগ বিরোধীরা পাবেন কি। কারণ, এ বার মূলত রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদজ্ঞাপন প্রস্তাব নিয়ে এবং বাজেট নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। এই দু’টি বিষয় নিয়ে আলোচনায় বরাদ্দ করা হয়েছে আট দিন। যদিও ওই আলোচনা চলাকালীন সরকারের গত পাঁচ বছরের ব্যর্থতাকে তুলে ধরার পরিকল্পনা করছেন বিরোধীরা,।

আজকের সর্বদলীয় বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরিবর্তে শাসক শিবিরের বর্ষীয়ান মন্ত্রী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজনাথ সিংহ। ছিলেন কেন্দ্রীয় সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। তিনি জানান, আগামী আট দিনে রাষ্ট্রপতির বক্তব্য ও বাজেট নিয়ে সংসদের উভয় কক্ষে আলোচনা হবে। আজ বৈঠকে উপস্থিত তৃণমূলের রাজ্যসভার মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায় জানান, সময় কম থাকায় আগামী শুক্রবার প্রাইভেট মেম্বার বিল নিয়ে আলোচনার পরিবর্তে রাষ্ট্রপতির বক্তৃতার উপর ধন্যবাদজ্ঞাপন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানানো হয়েছে।

আজ দলমত নির্বিশেষে অধিকাংশ বিরোধী দলই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহার নিয়ে সরব হন। কংগ্রেস তো বটেই, সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি-ও বিরোধীদের দমাতে ইডি, সিবিআইয়ের ব্যবহার করার অভিযোগে সরব হন। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার দাবিও তোলা হয়। বেকারত্ব ও মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও আলোচনার দাবি তোলেন বিরোধীরা। তৃণমূল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে বলেন, ‘‘বেকারত্বের সমস্যা চরম সীমায় পৌঁছেছে। আগের সর্বদল বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলেও কার্যক্ষেত্রে তা হয়নি।’’

ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়েও আলোচনার দাবি তুলেছেন একাধিক বিরোধী দল। কংগ্রেস নেতা প্রমোদ তিওয়ারি বৈঠকে বলেন, ‘‘লাদাখ ও অরুণাচলপ্রদেশে চিন ঢুকে পড়েছে। ভুটানের মতো দেশও বেসুর। তা হলে কি ধরে নিতে হবে যে বিদেশ মন্ত্রক প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার প্রশ্নে ব্যর্থ হচ্ছে।’’ আর এক বন্ধু দেশ মলদ্বীপের সঙ্গে চিনের সুসম্পর্ক নিয়ে সরব হয় মায়াবতীর দল বিএসপি। মণিপুরে গত নয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা অশান্তি প্রসঙ্গেও সরব হয় একাধিক দল।

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অরবিন্দ কেজরীওয়াল সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো নষ্ট করার অভিযোগে বৈঠকে সরব হন আপ নেতৃত্ব। তৃণমূলও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের বিষয়টি নিয়ে সরব হয়। ওয়াইএসআর কংগ্রেস এবং বিআরএস কেন্দ্র-বিরোধিতার পথে না হাঁটলেও, যথাক্রমে অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলঙ্গনারজন্য বিশেষ প্যাকেজের দাবিতে সরব হয়। বিহারের জন্য বিশেষ প্যাকেজের দাবি করেছে সদ্য এনডিএ-তে যোগ দেওয়া জেডিইউ।

এনডিএ-র শরিক শিবসেনা (শিন্দে শিবির)-এর পক্ষ থেকে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার ও রাম মন্দির নির্মাণের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানানো হয়। একই সঙ্গে দেশে দ্রুত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার জন্যও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার অনুরোধ করে তারা।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

CBI Central Government Oppositions

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy