ললিত কলা অ্যাকাডেমির বর্ষশুরুর প্রদর্শনীতে এ বার ঘোড়া ছোটাচ্ছেন কলকাতার চার ছবি আঁকিয়ে। কলকাতা শহরের অসুখ, সময়চিহ্ন, খবরের কাগজের বাস্তবতা, ধর্ষণ এবং হিংসার হাড়হিম শীতলতা উঠে এসেছে কখনও পেন এবং ইংক-এ, কখনও টেম্পারার কাজে, আবার কখনও বা ডিজিটাল পেন্টিং-এ। শমিত রায়ের ছবিতে যেমন সকাল শুরু হয়েছে শোকপালনের মতো থমথমে এক প্রেক্ষিতে। যার নাম ‘গুড মোওর্নিং’ ছাড়া আর কিই-বা হতে পারতো! সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর সংবাদপত্রের রক্ত ছড়িয়ে যাচ্ছে ফ্রেমের ডানায়। রয়েছে গণহত্যা আর ধর্ষণের নামচা। এক রক্তাক্ত পটভূমির মধ্যে পাঠরত করোটির চক্ষুগহ্বরের শূন্যতা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছে চারপাশের বিপণন আর মলশোভিত ফিলগুড আর তথাকথিত পূর্ণতাকে। দেবাশিস দাস চাইনিজ ইংক ব্যবহার করে তৈরি করেছেন অবচেতনের কাটাকুটি খেলা। দূরে সরে গিয়েও ফের কাছে এসে দাঁড়াতে হয় তাঁর তীব্র রেখার কাছে। সত্যজিৎ রায়ের কাজে অ্যাবসার্ডিটিকে ধারণ করে রেখেছে অলঙ্করণের কেতাবি জাদু। চতুর্থ শিল্পী পার্থ চৌধুরির রঙের ব্যবহার নম্র। দেখা অথচ না দেখা এক জগতের প্রতি মগ্ন টান তাঁর ক্যানভাসগুলিতে। ‘কলকাতা কোয়াট্রেট’ নামের এই প্রদর্শনীটি চলবে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
আরও পড়ুন, ভুল ট্রেনে ওঠার মাশুল, দিল্লিতে ধর্ষণ করে বেচে দেওয়া হল কিশোরীকে