Advertisement
০৫ মে ২০২৪

অবৈধ মদ রুখতে চান পরিমল

রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে এত দিন ধরে চলা অবৈধ মদের ব্যবসা ও মদের গুদাম বন্ধ করতে তৎপর হয়েছেন আবগারি মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:২০
Share: Save:

রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে এত দিন ধরে চলা অবৈধ মদের ব্যবসা ও মদের গুদাম বন্ধ করতে তৎপর হয়েছেন আবগারি মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য। তিনি জানান, এই অর্থবর্ষেই আবগারি দফতর অন্তত ১০০০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করবে। তার মধ্যে ৫৭৬ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই তহবিলে জমা পড়েছে। তাঁর বক্তব্য, অন্তত ৩০ শতাংশ বকেয়া রাজস্ব মেটায়নি, এমন ২৬টি মদের গুদামের লাইসেন্স বাতিল করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, গত অর্থবর্ষে ৭৯০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছিল ।

গত ২১ নভেম্বর নোটিশ জারি করে মন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, রাজ্যের ৮৮টি পাইকারি মদ গুদামের কাছে রাজ্য ২২০ কোটি টাকা পায়। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পুরো রাজস্ব না মেটালে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। এরপর থেকেই গুদাম মালিকরা নিয়মিত কর দিচ্ছিলেন। পরিস্থিতি যাচাই করে সময়সীমা শিথিল করা হয়। কিন্তু ৭০ শতাংশ গুদাম মালিক কর দিলেও বাকিরা কোনও টাকা মেটাচ্ছে না বলে মন্ত্রী জানান। তাদের মধ্যে ন’টি গুদাম একটি টাকাও কর মেটায়নি। সে কারণেই এই কঠোর সিদ্ধান্ত। এরই পাশাপাশি, দফতরের রাজস্ব বৃদ্ধির পথ খুঁজতে অবসরপ্রাপ্ত আমলা আর টি জিন্দলের নেতৃত্বে একটি কমিটিও গড়া হয়েছে।

মন্ত্রী জানান, অরুণাচল ও মেঘালয়ে মদের উপর কর কম। তাই দামও অনেক কম। সেখান থেকে মদ কিনে এনে তা অসমে মজুত করছিল ব্যবসায়ীদের একাংশ। সেই মদ অসম তো বটেই, নিষিদ্ধ রাজ্য নাগাল্যান্ড ও মণিপুরেও তা চড়া দামে পাচার করা হচ্ছিল। গত কাল কার্বি আংলং জেলার খটখটিতে অসম পুলিশের আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখার অভিযানে ১ কোটি টাকার অবৈধ মদ বাজেয়াপ্ত করা হয়। পরিমলবাবু জানান, জেলার আবগারি কর্তাদের অজ্ঞাতে এত মদ মজুত রাখা ও বিক্রি সম্ভব ছিল না। তাই জেলার আবগারি অফিসারদের সাসপেন্ড করা হচ্ছে। বাজেয়াপ্ত হওয়া মদ গুয়াহাটিতে এনে নষ্ট করে ফেলা হবে। পুলিশ জানায়, কার্বি আংলং থেকে ১২-১৩টি ট্রাক ভর্তি বেআইনি মদ উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলি শুধু মাত্র অরুণাচলে বিক্রি করা কথা। পাচার চক্রের কথা ফাঁস হওয়ার পরে জানা যায়, এক সুরা-মাফিয়ার ছত্রছায়ায় ওই কাজে মদত দিচ্ছিলেন জেলা আবগারি অধীক্ষক, সহকারী অধীক্ষক-সহ অনেকে। ইতিমধ্যে অধীক্ষক ও সহকারী অধীক্ষক-সহ ১৩ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অবৈধ মদ ব্যবসা চালানোর অভিযোগে ইতিমধ্যেই অসমের ‘মদ-মাফিয়া’ হিসেবে পরিচিত রাজেশ জালান ও তার ঘনিষ্ঠ সঙ্গীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিমলবাবু জানান, গোটা বিষয়টি নিয়েই তদন্ত শুরু হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Parimal Suklabaidya Illegal liquor
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE