২০২২ সালের মধ্যে শহরাঞ্চলে ১ কোটি বাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। সেই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (শহর) প্রকল্পে গত পাঁচ বছরে কেন্দ্র বরাদ্দ করেছে ১ লক্ষ ৩০ হাজার ১৬০ কোটি টাকা। বরাদ্দ বেড়েছে প্রতি বাজেটেই। কিন্তু প্রকল্প তার লক্ষ্যমাত্রার ৩০ শতাংশও ছুঁতে পারেনি।
কেন্দ্রের পরিসংখ্যানই তুলে ধরেছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (শহর) প্রকল্পের এই ফিকে ছবি। আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য বলছে, গত পাঁচ বছরে দেশের বিভিন্ন শহরে ৮৩ লক্ষের বেশি বাড়ি তৈরি করার অনুমোদন দেওয়া হলেও বাস্তবে তৈরি হয়েছে ২৬ লক্ষের কিছু বেশি বাড়ি। বরাদ্দ অর্থের মধ্যে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত বিলি হয়েছে মাত্র ৫১,৪১৪ কোটি টাকা। ফলে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হবে কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে। কেন্দ্রীয় আবাসনমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরীর দাবি, ২০২০-র মধ্যেই অনুমোদিত বাড়ির সংখ্যা ১ কোটি দাঁড়াবে। ফলে ২০২২ সালের মধ্যেই লক্ষ্যমাত্রা ধরে ফেলা যাবে বলে তিনি মনে করছেন। যদিও এতটা সহজে ‘ফিনিশিং লাইন’ ছোঁয়া যাবে না বলেই মনে করছে নির্মাণ সংস্থাদের সংগঠন ক্রেডাই। তাদের দাবি, শহরাঞ্চলে বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে জমির দাম বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সে ক্ষেত্রে কম দামি আবাসন করে লাভের মুখ দেখা কঠিন হয়। এ ধরনের প্রকল্প তৈরি করতে তেমন উৎসাহ দেখায় না নির্মাণ সংস্থাগুলি। ক্রেডাইয়ের দাবি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা সফল করতে নির্মাণ সংস্থাগুলিকে আরও ছাড় দেওয়া হোক। গৃহ ঋণের সুদ কমানোর পক্ষেও সওয়াল করেন তাঁরা।
তবে শহরাঞ্চলে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের মলিন ছবিতে যে দশটি রাজ্য কিছুটা মান রেখেছে, তাদের মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের বাড়ি তৈরির দৌড়ে রাজ্য পিছনে ফেলে দিয়েছে তেলঙ্গানা, ছত্তীসগঢ়, বিহার, হরিয়ানাকে। শহরাঞ্চলে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে আট নম্বরে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনায় অবশ্য রাজ্য তালিকার শীর্ষে।