Advertisement
E-Paper

যোগী-রাজ্যের ভার কি প্রিয়ঙ্কার

লোকসভা ভোটের কয়েক মাস আগেই কংগ্রেস সভাপতি রাহুল উত্তরপ্রদেশের মতো গোবলয়ের বড় রাজ্যে দলের দুই সাধারণ সম্পাদককে দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছিলেন। পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব দিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কাকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৯ ০৪:১১
প্রিয়ঙ্কার উপরই ভরসা কংগ্রেস কর্মীদের। —ফাইল চিত্র।

প্রিয়ঙ্কার উপরই ভরসা কংগ্রেস কর্মীদের। —ফাইল চিত্র।

ইস্তফা দিয়েছেন রাহুল গাঁধী, তবু তাঁর নামে রাজ্যের সংগঠনে বড় ফের বদল হচ্ছে। এরই মধ্যে কংগ্রেস সূত্রের খবর, বিধানসভা ভোটের আগে গোটা উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব পেতে পারেন রাহুলের বোন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা।

লোকসভা ভোটের কয়েক মাস আগেই কংগ্রেস সভাপতি রাহুল উত্তরপ্রদেশের মতো গোবলয়ের বড় রাজ্যে দলের দুই সাধারণ সম্পাদককে দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছিলেন। পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব দিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কাকে। আর পশ্চিমের ভার দেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে। কিন্তু সম্প্রতি সিন্ধিয়া ঘোষণা করেন, রাহুলের ইস্তফার পরে তিনিও পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফার চিঠি দলের সভাপতির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এর পরে গোটা উত্তরপ্রদেশের ভার এখন প্রিয়ঙ্কার কাছেই যেতে পারে বলে কংগ্রেসের একটি অংশের দাবি। পূর্ব উত্তরপ্রদেশের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাহুল নিয়োগ করলেও প্রিয়ঙ্কা নিজের টুইটারে কিন্তু নিজেকে শুধু কংগ্রেসের ‘সাধারণ সম্পাদক’ হিসেবেই পরিচয় দিচ্ছেন।

সিন্ধিয়ার ইস্তফা ঘোষণার পর দলের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছিল, এ বারে কী প্রিয়ঙ্কাও ইস্তফা দেবেন? সিন্ধিয়ার ইস্তফার সময়ে প্রিয়ঙ্কা ছিলেন বিদেশে। স্বামী রবার্ট বঢরার চিকিৎসার জন্য। দু’জনেই ফিরে এসেছেন। গত কাল রবার্টও ফেসবুক পোস্টে রাহুলের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। কিন্তু প্রিয়ঙ্কা এখনও দলের বাকিদের, বিশেষ করে প্রবীণদের উপর চাপ বাড়ানোর জন্য ইস্তফা দেননি। এখন দলও নাজেহাল রাহুলের উত্তরসূরি বাছাই নিয়ে।

এরই মধ্যে কাল এআইসিসি-র সংগঠনের দায়িত্বে থাকা নেতা কে সি বেণুপোগাল একটি বিবৃতি দিয়ে ভোটমুখী মহারাষ্ট্রের সংগঠনে আমূল বদলের ঘোষণা করেন। সেই বিবৃতিতেই জানানো হয়, ‘কংগ্রেস সভাপতি’র অনুমোদনে বালাসাহেব থরোটকে মহারাষ্ট্রের সভাপতি করা হয়েছে। সঙ্গে আরও পাঁচ জনকে কার্যকরী সভাপতি করা হয়। কিন্তু ‘কংগ্রেস সভাপতি’ শব্দগুচ্ছের সঙ্গে রাহুল গাঁধীর নাম লেখা হয়নি। ইস্তফা দেওয়ার পরেও যে হেতু ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হয়নি ও তাঁর ইস্তফা মঞ্জুর হয়নি, রাহুল এখনও কংগ্রেসের সভাপতিই। দলের অনেকে এটি ‘আশার আলো’ হিসেবেই দেখছেন। এক নেতার কথায়, “সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা বলেও রাহুল সংগঠনে রদবদল করছেন। ফলে তাঁকে পদে রাখার জন্য মানিয়েও নেওয়া সম্ভব ধীরে ধীরে। সব রাজ্যেই এখন কংগ্রেসে ঝড় উঠেছে। দিল্লিতে শীলা দীক্ষিত নিজের মতো করে সংগঠন সাজিয়েছেন, তো পি সি চাকো প্রকাশ্যে বিরোধিতা করছেন। মহারাষ্ট্রে মিলিন্দ দেওরা ইস্তফা দিয়েছেন, সমালোচনা করছেন সঞ্জয় নিরুপম।

নভজ্যোৎ সিংহ সিধু পঞ্জাবের মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়ে ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহের সঙ্গে ঝগড়া করছেন, যে রাজ্যে কংগ্রেস তা-ও মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। যে কারণে ওমর আবদুল্লার মতো নেতাকেও বলতে হচ্ছে, ‘‘যে রাজ্যে বিজেপি কোনও বিঘ্ন ঘটাচ্ছে না, সেখানে কংগ্রেস নিজেদের মধ্যে লড়ছে। ফলে এখনই গাঁধী পরিবারের রাশ টানা উচিত। ”

Congress Priyanka Gandhi Rahul Gandhi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy